নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কবলে পড়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হতে না পেরে অনেকেই চার দেয়ালে বন্দী জীবনযাপন করছেন। চার দেয়ালে বন্দী সময়গুলো কাটাতে কেউ টিভি দেখছেন। কেউ কেউ বাড়ীতে সপরিবারে ক্যারাম খেলছেন। কেউবা আবার সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করে সময় পার করছেন। এদের মধ্যে গাছের পরিচর্যা করেও অনেককে সময় কাটাতে দেখা গেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ চোকদার (পাপ্পু)। তিনি ঘরবন্দী সময়গুলো কাটাচ্ছেন বাড়ীর ছাদে রোপণকৃত ফলজ গাছের পরিচর্যা করে। তার বাড়ীর ছাদে প্রবেশ করতেই বুঝতে পারবেন তিনি একজন বৃক্ষ ও প্রকৃতি প্রেমিক মানুষ। পেশাগত কিংবা ব্যক্তিগত কাজে তিনি যেখানেই যান বিভিন্ন দেশি বিদেশী ফলের গাছ সংগ্রহ করে নিয়ে এসে বাড়ীর ছাদে টপের মধ্যে রোপণ করেন। যা দেখে বোঝা যায়, এ যেন ছোট পরিসরে একটি নার্সারী। তার বাড়ীর ছাদে তিনি সংরক্ষণ করেছেন বিভিন্ন জাতের দেশী বিদেশী ফলের গাছ। এর মধ্যে রয়েছে দেশী জাতের আম, লেবু, আমড়া, কমলা, সফেদা, পেয়ারা ও বরই। আর বিদেশী জাতের মধ্যে থাই করমচা, চাইনিজ পেয়ারা, থাই পেয়ারা, থাই লাল জাম্বুরা, ড্রাগন ফল, কমলা, থাই কাগজি লেবু, বারোমাসি আমড়া, আপেল, কুল বড়ই, থাই সফেদা, বারোমাসি সফেদা, আমেরিকান পালমার আম অন্যতম। সবজির মধ্যে আছে মরিচ, সাদা বেগুন, গোল বেগুন, পুঁইশাক, শশা, বোম্বাই-নাগা মরিচ, কৃষ্ণচূড়া মরিচ, ক্যাপসিকাম অন্যতম। প্রায় ৮ মাস আগে থেকে তিনি শখের বসে বাড়ীর ছাদে বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ ও সবজি রোপণ করা শুরু করেন। বর্তমানে তার বাড়ীর ছাদে ১৫-২০ ধরনের ফল গাছ রয়েছে। যা তার পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাড়ীর ছাদের জায়গাকে কাজে লাগিয়ে বিষমুক্ত ফল খাওয়া যাবে। সেই সাথে আত্মীয়স্বজনকে বিলিয়ে দেয়া যাবে মনটাই ভেবে বাড়ীর ছাদে গড়ে তুলেছেন ফলের বাগান। পারভেজ চোকদার (পাপ্পু) বলেন, শখের বসেই বাড়ীর ছাদে মূলত ফলের বাগান করেছি। বাড়ীর ছাদতো খালিই পড়ে থাকে তাহলে সেটাকে কাজে লাগালে সমস্যা কোথায়। এ থেকে যেমন বিষমুক্ত ফল পাওয়া যাবে তেমনি পরিবারের পুষ্টিও পূরণ হবে। সেইসাথে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদেরও উপহার হিসেবে ফল দেয়া যাবে।