নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বিএনপি-জামাত অপশক্তির তথাকথিত আন্দোলন, সমাবেশ, হরতাল-অবরোধের নামে সন্ত্রাস-নাশকতা নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
গতকাল সোমবার রাজাধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে বিএনপি-জামাত অপশক্তি কর্তৃক প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও পুলিশ হাসপাতালে হামলা, পুলিশ সদস্য হত্যা, সাংবাদিক নির্যাতন, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সঞ্চালকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ, ন্যাপের মোহাম্মদ আলী ফারুক, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণ-আজাদী লীগের এস কে শিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন; দুর্বৃত্তদের সংগঠন। তথাকথিত মহাসমাবেশের নামে বিএনপি-জামাত অপশক্তি নৃশংস সন্ত্রাস চালিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তারা মহাসমাবেশের নামে বর্বরোচিতভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এবং তাদের হামলায় ৪১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে, এ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিয়েছে, অর্ধশতাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নগ্ন হামলা চালানো হয়েছে, তাদের হামলায় প্রায় ৪১ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছে। ১ জন সিনিয়র সাংবাদিক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। রাজধানীর ডেমরায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা একটি বাসে আগুন দিয়ে ওই বাসের ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা হেলপার নাঈম (২২)-কে হত্যা করেছে। বিএনপি-জামাতের সশস্ত্র ক্যাডাররা লালমনিরহাটে অতর্কিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বিএনপি সন্ত্রাসীদের হামলায় সারাদেশে শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এই অপশক্তি তথাকথিত আন্দোলনের নামে আর যেনো সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ইতিহাস হলো বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের ইতিহাস; স্বৈরাচারের ইতিহাস। সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ধারাবাহিক অপরাজনীতির মধ্য দিয়ে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিএনপির ইতিহাস হলো হত্যা-খুন ষড়যন্ত্রের ইতিহাস; সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ইতিহাস। তাদের হাত জনগণের রক্তে রঞ্জিত। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছে।
তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সন্ত্রাস ও নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। হরতাল ও অবরোধের নামে অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে মেতে উঠেছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।