নিজস্ব প্রতিবেদক
হাট আছে। হাটে গরু আছে। কিন্তু হাটে ক্রেতা নেই তেমন। এমন অবস্থা বিরাজ করছে মুন্সীগঞ্জের প্রধান গরুর হাট মুক্তারপুর সেতুর নি”ের অংশে। গত শুক্রবার থেকে এ হাটের প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হলে ক্রেতা শূণ্যতায় ভুগছে হাটের ইজারাদাররা। আর হাটে গরু বিক্রি করতে আসা পাইকাররা হতাশায় ভুগছেন হাটের ক্রেতা শুন্যতার এ অবস্থা দেখে। মুক্তারপুর সেতুর নিচে এবারই প্রথমবারের মতো এখানে কোরবানীর পশু বিক্রির হাট বসেছে। করোনার মহামারীর কারণে বিসিক থেকে এ হাটের বেচাকেনার কাজ সরিয়ে আনা হয়েছে মুক্তারপুর সেতুর নিচে। এ সময়ের মধ্যে হাটের পশু বিক্রি জমজমাট হয়ে উঠতো সবসময়। এ হাটে গরু কিনতে আসা অনেক ক্রেতা দাবি করছেন যে, এ সময়ে হাট জমে উঠতে দেখেছেন। কিন্তু এবারই এ অবস্থা দেখে তারা অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। করোনার কারণে এবার পশু হাটে ক্রেতা সমাগম কম বলে অনেকেই মনে করছেন বলে জানা গেছে। এবারের পশু হাটে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আনুমানিক ২ হাজার গরু উঠেছে। তবে এখনো হাটে গরু রাখার স্থান ফাঁকা দেখা গেছে। এদিকে এ কয়দিনে মাত্র ৬টি গরু বিক্রি হয়েছে বলে ৬নং কাউন্টার থেকে জানা গেছে। সিরাজগঞ্জ থেকে চার গরু ব্যবসায়ী এ হাটে গরু নিয়ে এসেছেন গত শুক্রবার দিন। তারা চারজনে মোট গরু এনেছেন ১৮টি। কিন্তু গত চারদিনে একটি গরুও তারা এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেননি। তিনি একটি গরু ক্রেতার কাছে দাম চেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু ক্রেতা সেই গরুর দাম বলছেন মাত্র ৭০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে গরু বিক্রেতাদের দাবি হচ্ছে যে, গরুকে খাওয়াতে কিংবা পরিচর্যা করতেই এ দামের চেয়ে বেশি অর্থ ইতোমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু সেই দামও গরুর এ হাটে উঠছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মুক্তারপুর সেতুর পাশেই রয়েছে ধলেশ্বরী নদী। এ পথে গরুর পাইকারদের গরু নিয়ে যাওয়ার পথে এ হাটে গরু আনার জন্য দিনভর মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু নদী পথে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর পাইকাররা তাদের গরু এ হাটে উঠাচ্ছেন না বলে শোনা যাচ্ছে। কারণ হচ্ছে হাটে ক্রেতা না থাকায় পাইকাররা গরু নিয়ে অন্য হাটে চলে যাচ্ছেন।
বিসিক হাটে গরু আছে, ক্রেতা নেই
আগের পোস্ট