সরকারের সহযোগিতা কামনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
মৌ-চাষে একসময় সফলতা পেয়েছেন অনেকে। বিভিন্ন মৌসুমে নানা ফুলের মধু সংগ্রহে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা এমনকি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলে যান খামারীরা। বর্তমানে মধু উৎপাদন বেশি থাকলেও বিক্রি কম হওয়ার কারণে লোকসান গুনছেন মধু চাষীরা। সহজে বাজারজাত বা বোতলজাত করতে পারছেন না তারা। বিএসটিআইসহ নানা জটিলতার কারণে এখন অনেক মৌ-খামারীরা বিপাকে। তাই তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছেন।
ঢাকার পাশের জেলা মুন্সীগঞ্জ। এ জেলার ২টি উপজেলা সিরাজদিখান ও শ্রীনগরে এ বছর প্রায় ৬ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে সরিষার উপর নির্ভর করে ২ উপজেলায় ৪ টি মৌ খামার রয়েছে। প্রতি খামারীদের রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টি বাক্স। প্রতি বাক্সে সপ্তাহে ২ থেকে আড়াই কেজি মধু সংগ্রহ করতে পারে খামারীরা। এ মৌসুমে ২৫ থেকে ৩০ দিনে মধু সংগ্রহ করেছে ২ টনেরও বেশি। প্রতিকেজি মধু পাইকারি বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ বছর পাইকার কম থাকায় লোকসান গুনছেন মৌ-চাষীরা। এ মধু মানবদেহের জন্য বেশ উপকারি এবং এ মৌ-চাষের কারণে শস্যের ফলন বেশি হয়ে থাকে।
অনেকে শহর থেকে মধু নিতে এসব অঞ্চলে চলে আসেন। আবার শহরের কিছু মধু ব্যবসায়ী সরাসরি খামার থেকে মধু নিয়ে শহরে বিক্রি করে থাকেন।
সিরাজদিখানের মৌ খামারী মো. মনিরুজ্জামান লিটন বলেন, তিনি ৪ বছর যাবৎ এ ব্যবসায়ে জড়িত। কিন্তু ব্যবসায় তেমন সফলতা পাননি। মৌ-চাষে তারা আশানুরূপ মধু সংগ্রহ করতে পারছেন। কিন্তু দাম কম, পাইকার কম হওয়ায় তারা মধু বিক্রি করতে পারছেন না। তাই তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যাতে এ মধু রপ্তানী করা যায়। তা না হলে অনেক খামারী এ ব্যবসা থেকে সরে যাবে।
শ্রীনগর উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, তার উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। তার উপজেলায় এবার ২ জন খামারী মৌ চাষ করছেন। তারা কৃষক এবং খামারীদের উদ্বুদ্ধ করে থাকেন মৌ চাষে। মৌ চাষের কারণে পরাগায়ন বেশি ঘটে এতে কৃষকের ফলন ভাল হয় এবং এ খাঁটি মধু মানবদেহের অনেক উপকারে আসে।
সিরাজদিখান উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন জানান, খামারীদের আমরা উদ্বুদ্ধ করি কারণ মৌ চাষের কারণে ফসল ভাল হয়। ভেজালবিহীন মধু উৎপাদন হয়। এবার এ অঞ্চলে খামারী কমেছে। কারণ উৎপাদন ঠিক থাকলেও বিক্রি কম, দাম কম এবং খামারীরা সহজে এ মধু বাজারজাত, বোতলজাত করতে পারছেন না। এখানে বিএসটিআইসহ অনেক জটিলতা আছে।