নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পুরান গোগনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নারীসহ আহত হয়েছে ৪ জন। আহতরা হলেন মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমের হাবিবুর রহমান (৪৩), মোঃ বাদল (৩৫), মনোয়ারা বেগম (৬০), ফাতেমা বেগম (৩০)।
হামলায় গুরুতর আহত হাবিবুর রহমানের মেয়ে হালিমা আক্তার পিংকি জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোপচরের পুরান গোগনগর সাথী আক্তারের শাশুড়ি যে বাসায় কাজ করতো সেই বাসার মালিকের ছেলের সাথে আমার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়েছিল। কিন্তু বিবাহের পরে আমি জানতে পারি সে সম্পূর্ণ মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে আমি তাকে তালাক দেই, আর এই বিয়ের ঘটকালি করেছিল সাথীর শাশুড়ি, মোটা অংকের টাকা পাবে বলে। কিন্তু বিবাহের পূর্বে ছেলের মানসিক সমস্যার কথা আমাকে ও আমার পরিবারকে জানায়নি। তাই তাকে তালাক দেওয়াতে মোটা অংকের টাকা হাতছাড়া হয়ে যাওয়াতে আমাদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি করে সাথী গং।
গত ২৬ মে আমার খালার অসুস্থতার কথা শুনে আমরা তাকে দেখতে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থেকে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে গোগ নারায়ণগঞ্জের গোপচর গোগনগরের আলাউদ্দিনের ছেলে আউয়াল (৫৫), তার মেয়ে মোসাম্মৎ সাথী (৩২) ও মেহেদি, রাসেল, মাসুদা, রুবেল, আঁখি, ঝর্ণাসহ আরো কয়েকজন নাম না জানা স্থানীয় সন্ত্রাসী। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এবং কাঁচি দিয়ে আমার বাবার উপরে আঘাত করে। এতে আমার বাবা মারাত্মক আহত হয়। পরে লাঠি ও ডাঁসা দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালালে আমাদের শরীরে অনেক আঘাত পাই। আমাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে তারা পালিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই। এরপর নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করি।
এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ মডেল থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।