নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরকাদিম পৌরসভার মানুষেরা আসলে কি ধরণের গরুর মাংস খাচ্ছে ? সেখানে ও এর আশপাশে যে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে তা কি স্বাস্থ্যসম্মত ? তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মিরকাদিম পৌরসভায় কোন ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না গরুর মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে। সাধারণত গরু জবাই করার আগে এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মিরকাদিম পৌরসভায় তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানে কি গরু রোগে আক্রান্ত আর সেই গরুই কি জবাই করে বিক্রি হচ্ছে ? নাকি ভালো গরুর মাংস মিরকাদিমে বিক্রি হচ্ছে। এখানকার গরুর মাংস বিক্রির ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যসম্মত মাংস বিক্রির কোন ধার ধারে না। তারা হচ্ছেন এখানে রাজার রাজা। মিরকাদিম পৌরসভায় প্রতিদিন মান্নান নামের এক ব্যক্তি এখানে গরু জবাই করে গরুর মাংস বিক্রি করে থাকেন। তার কাছ থেকেই গরুর মাংস বিক্রি ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ নিয়ে বাজারে বাজারে মাংস বিক্রি করে থাকেন। এখানে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই সব গরু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে। গরুর মাংস ব্যবসায়ী মান্নান জানান, এখানে এ ধরণের ব্যবস্থা নেই। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এখানে গরু জবাই করে এর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। গত শুক্রবার কাক ডাকা ভোরে মান্নানের গরু জবাইয়ের কসাইখানায় গিয়ে দেখা যায় যে, সেখানে দুটি গরু জবাই করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু সম্পূর্ণভাবে বিক্রির উপযোগী করে থাকে থাকে টানানো হয়েছে। অন্যটি বিক্রির উপযোগী করার কাজ করা হচ্ছে। আরেকটি গরু জবাইয়ের জন্য অপেক্ষমান করে রাখা হয়েছে। সাধারণত তৃতীয় গরুটিই আগে জবাই করার কথা ছিল।
কিন্তু সেটি সবার পরে জবাইয়ের জন্য রাখা হয়। প্রথম জবাইকৃত গরু নিয়ে রহস্যের জাল ও প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি মারছে সর্বত্র। এ গরুটি আগেভাগে জবাই করে রাখার কারণ হচ্ছে এটিতেই ছিল মূলত ভেজাল আর ভেজাল। এ বিষয়ে প্রতিবেদকের কাছে খবর ছিল, এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার উপযোগী গরুর মাংস ছিল না। এ গরুর জবাইয়ের পর চারপায়ের অংশ একত্রে করে রাখা হলেও সেখানে রক্তের কোন ছাপ বা দাগ নেই। সাধারণত সুস্থ সবল গরুর গায়ে জবাইয়ের পর প্রচুর পরিমাণ রক্তের ছাপ থাকার কথা। কিন্তু এতে তা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মান্নানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু বলতে পারেননি। বরং উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এসময় তার ছেলে সাংবাদিকদের ছবি ভিডিও ধারণ করেন। ইতোপূর্বে মান্নান রোগে আক্রান্ত জীর্ণ শীর্ণ গরু জবাইয়ের জন্য তার কসাইখানায় আনেন। এ ধরণের একটি ফুটেজ এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। তার কিছু অংশ পাঠকের কাছে তুলে ধরা হল। এ বিষয়টি দেখলে এ ব্যবসায় তার সততা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। সে মূলত সুযোগ পেলে মিরকাদিম পৌরবাসীকে এ ধরণের মরা গরুর মাংস খাওয়াতে একপাও পিছনে যান না।