নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার প্রধান প্রবেশ ও বহির্গমন মুখ মুক্তারপুর চীন-মৈত্রী সেতু। আর এই সেতুর দুই প্রান্তেই জলাবদ্ধতায় নাকাল সাধারণ মানুষ। বছরের পর বছর একই ভোগান্তি বয়ে আসছে পথচারীরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেতুর দুই পাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এই জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হলেও কোন ধরনের কর্ণপাত করেনি সেতু কর্তৃপক্ষ। বিগত দুইদিনে পানিতে ডুবে থাকা গর্তে পড়ে অন্তত চারটি দুর্ঘটনা ঘটছে। ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এবার সেতু কর্তৃপক্ষের অপেক্ষা না করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তার ছোট ছোট গর্তগুলো সংস্কারের কাজ করতে দেখা গেলো এক সিএনজি চালককে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তারপুর সেতুর টোল প্লাজায় হাঁটু সমান পানি। সেতুর দক্ষিণ পাশে ঢাকা থেকে আসতেই মুন্সীগঞ্জের প্রবেশদ্বারে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন পরপর এসব গর্তের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রিক্সা, ভ্যান, সিএনজি ও ইজিবাইক। দুর্ঘটনায় অনেকে পঙ্গুত্বও বরণ করছে।
পথচারী মাসুদ রানা বলেন, ব্রিজের পাশে কোন ধরনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
জলবদ্ধতার বিষয়ে মুক্তারপুর সাইটের সেতু বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অতি শীঘ্রই ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।