নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পৈতৃক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সম্পত্তি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এতে প্রতিপক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং-টঙ্গীবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী মৌজার আরএস- ৬০৭, ৬০৯, ৬১১, ৬১২, ৬১৩, ৬৪১ ও ৬১৭নং দাগে মোট ১৫০.৫০ শতাংশের জমির মালিক মোঃ মফিজ উদ্দিন শেখ গং। তাদের প্রতিপক্ষ বিনু আক্তার ও মোকসেদা বেগম গং জাল দলিলের মাধ্যমে ৫.৩৬ শতাংশ। আর জাল-জালিয়াতির জন্য আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
আরও জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে মফিজ উদ্দিন শেখ কাজের জন্য সৌদি আরবে যান। পরে প্রতিপক্ষরা যোগসাজশে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে দলিল সম্পাদনা করে।
ভুক্তভোগী মোঃ মফিজ উদ্দিন শেখ (৬৮) বলেন, আমি প্রবাসে থাকাকালীন ওরা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি জাল দলিল করে নেন। পরে আমরা সালিশির মাধ্যমে জমি বুঝে নেই। দলিল বাতিলের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এখন স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে দখল করতে পাঁয়তারা করছে।
স্থানীয় ফারজানা আক্তার বলেন, এই জায়গা মফিজ উদ্দিন কাকাদের। এখন মোকসেদা ও বিনুরা মানুষ নিয়ে এসে দখলের পাঁয়তারা করছে। কয়দিন আগে মারামারি করেছে।
আরেক স্থানীয় মজিদ উদ্দিনের চাচাতো ভাই আজিজুল শেখ বলেন, এই জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। আমার চাচাতো ভাইয়েরা মালিক। ওরা আমাকে মেরেছে। আমার পায়ে কোপ দিয়েছে এ জমি নিয়ে। ওরা রাতের আঁধারে জমির খুঁটিগুলো উঠিয়ে ফেলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত বিনু আক্তারের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি বলেন, আমি সম্পত্তি কিনেছি। দখলের পাঁয়তারা করছি না।
আপনার দলিল বাতিলের মামলা আদালতে চলমান এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিও মামলা করছি। কোন দখল করছি না।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম, আজকে থানায় এসেছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।