মানছে না সামাজিক দূরত্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে প্রানঘাতী করোনার ছোবলে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ২৪ ঘন্টাই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন তারা প্রানঘাতী করানোভাইরাস মোকাবেলায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যরা চেষ্টা চালাচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে। রাত দিন মানুষকে বুঝিয়ে যার যার বাসায় থাকতে বলছেন, করেছেন সচেতনতার জন্য মাইকিংও। গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জ শহরে দেখা গেছে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের পরও সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করে ঘোরাফেরা করতে। বিভিন্ন অজুহাতে তারা শহর জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ডাক্তারের কাছে কিংবা হাসপাতালে যাবে এমন বাহানা তুলে ধরে তারা। পুরুষের তুলনায় মহিলারা বাজারে কেনাকাটা করতে আসছে বেশী। সরকারী ন্যায্যমূল্যের ১০ টাকা কেজি বিক্রির চালের দোকানে, বাজারে, ব্যাংকে, পাড়া মহল্লায় এবং গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতেও মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্ব। মুন্সীগঞ্জে গত তিনদিনে ১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে মুন্সীগঞ্জ শহরের কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের উপচে পড়া ভিড়। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে আগের মতোই করছে বাজার সদাই। গত কয়েকদিনে কমতি ছিলো না ১০ টাকা কেজি সরকারী চাল বিক্রির দোকানে হাজারো মানুষের জটলা। খোলা থাকা ব্যাংকগুলোতেও আগের মত দীর্ঘ লাইন আর মানা হচ্ছেনা সামাজিক / শারীরিক দূরত্ব। শহরে গণপরিবহন কম থাকলেও পায়ে হেঁটে চলা মানুষের উপস্থিতি বেড়েই চলছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো জেলাকে সিল করা হয়েছে। জেলার প্রধান প্রবেশদ্বারে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি নৌপথেও টহল জোরদার করেছে নৌ পুলিশ । বন্ধ রয়েছে নৌপথে সকল প্রকার যান চলাচল। জেলার বাইরের কোন গাড়ী এবং মানুষ যাতে শহরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য চেকপোষ্টের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।