নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের আরও ৭২ জনের নমুনা গতকাল সোমবার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩১, শ্রীনগর উপজেলায় ১০, সিরাজদিখান উপজেলায় ৮, লৌহজং উপজেলায় ৩, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় ৬ এবং গজারিয়া উপজেলায় ১৪ জনের নমুনা রয়েছে। গত রবিবার দিনভর এই নমুনা সংগ্রহ করে তা মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে সংরক্ষণ করে গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার নিপসম -এ পাঠানো হয়।
এই জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ২২টি নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৭৮৭টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৬ জনের।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নতুন কোন রিপোর্ট আসেনি। সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, নিপসন বলেছে- ঢাকা থেকেও কিছু নমুনা তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে, তাই তাদেরও লোড বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। কারণ সক্ষমতার চেয়ে নমুনা বেশী। এছাড়া মুন্সীগঞ্জেরও নমুনা এখন বেশী যাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ থেকে রবিবার পাঠানো হয়েছে ১১৮টি নমুনা।
আর আইইডিসিআর এ ২৮ এপ্রিলের বাকী পেন্ডিং রিপোর্টও পাঠায়নি। সিভিল সার্জন জানান, নিপসম বলেছে রিপোর্ট কিছু সন্ধ্যার দিকে দেয়ার চেষ্ট করবে।
এদিকে গত রবিবার মুন্সীগঞ্জে নতুন করে সর্বোচ্চ তিন পুলিশ ও স্বাস্থ্য সিভিল সার্জন অফিসের ৭ জনসহ আরও ৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৩, সিরাজদিখান উপজেলায় ৬ জন, গজারিয়া উপজেলায় ৭ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ১১ জন এবং লৌহজং উপজেলায় ২ জন। এই নিয়ে জেলায় শনাক্ত হয়েছে ১৬৬ জন। যার মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন।