নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে ভাইয়ের নামে খরিদ করা সম্পত্তি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে আপন বোনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সিঙ্গাপুর ফেরত প্রবাসী মোঃ মজিবুর রহমান কাজী এই ঘটনায় পড়েছেন চরম বিপাকে। এদিকে তার সম্পত্তিতে মোবাইল ফোনের টাওয়ার এবং বিভিন্ন স্থাপনা করা হলেও সেগুলোর কোন সুবিধাই পাচ্ছেন না মজিবুর কাজী। স্থাপনা ঘরগুলোর ভাড়া এবং মোবাইল ফোন টাওয়ারের দেওয়া টাকা আনতে গেলে তাকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপালের জোড়াদেউল গ্রামের মোসলেম শেখের স্ত্রী রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন তার আপন ভাই নাহাপাড়া গ্রামের ইউসুফ কাজীর পুত্র মজিবুর রহমান কাজী।
জানা গেছে, ২০০১ সালের ৪ জুন মজিবুর কাজী সিঙ্গাপুর প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার বোন রাশেদা বেগমের পরামর্শে জোড়াদেউল এলাকার মরহুম কফিলউদ্দিন শনির এ সম্পত্তি তার ওয়ারিশগণের নিকট হতে ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার মধ্যে ১০ শতাংশ জমি মুজিবর নামে ও ৫ শতাংশ রাশেদা বেগমের নামে সাফকবলা দলিলে নেয়া হয়। এটি মুন্সীগঞ্জ সদর সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত ২২৩২ সাফ বিক্রয় কবলা। মুন্সীগঞ্জ সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক জোড়াদেউল ১৬নং মৌজার যাহার আরএস নামজারী নং ৬০৭/২১২২ ও খতিয়ান নং ১৮৭৪। এই জমিতে একটি মোবাইল ফোনের টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। যার কোন সুবিধা মজিবুর পাননি বলে অভিযোগে জানান। এর মধ্যে মজিবুর কয়েকটি স্থাপনাও করেন। এগুলোর ভাড়া আনতে গেলে তাকে মারধর ও হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানায় অভিযোগ করার পরও ক্ষান্ত হয়নি বোন রাশিদা বেগম। পরে নিরুপায় হয়ে মজিবুর কাজী তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি অন্যের কাছে বিক্রয় করে দেন। জোড়াদেউলের স্থানীয় বাসিন্দা মোকলেছ মাঝি বলেন, রাশিদা বেগম তার ভাইয়ের টাকায় জমিটি ক্রয় করেছে। এখন তার ভাইকেই এখান থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে। আমরা বিষয়টি সব জানি। এলাকার সবাই দলিলও দেখেছে।
ভুক্তভোগী মজিবুর কাজী জানান, ২০০১ সালে সিঙ্গাপুর প্রবাসে থাকা অবস্থায় জোড়াদেউলে ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি। এর মধ্যে ১০ শতাংশ আমার নামে ও ৫ শতাংশ আমার বড় বোন রাশিদা বেগমের নামে ক্রয় করি। এখন আমার ১০ শতাংশ জায়গা সে ভোগ করতে দেয় না। আমি গেলে স্থানীয়দের দিয়ে আমাকে মারধর করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। এরপরও আমি বোনের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছিলাম। পরে নিরুপায় হয়ে আমি জায়গা অন্যত্র বিক্রয় করে দিয়েছি। এখন তাদেরকেও এ জায়গায় গেলে বাধা প্রদান করছেন রাশিদা বেগম। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।