নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে তবে অবশ্যই মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ঈদের আগে সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেই গতকাল রোববার মুন্সীগঞ্জের দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ায় হুড়মুড়িয়ে আসছেন ক্রেতারা। তবে ফুটপাতে ভিড় কম তার কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আসলে ফুটপাতে মাল সাজাতে হয় ১ম দিন। মাল সাজাতে সময় নেওয়ায় ক্রেতার উপস্থিতি ছিলো অনেকটা কম। স্বাস্থ্যবিধি মানা আর না মানার দ্বন্দ্বে ক্রেতা-বিক্রেতা। মুন্সীগঞ্জ শহরের মার্কেটগুলোতে বেলা বাড়তে বাড়তেই কানায় কানায় পূর্ণ। সকাল ১০টায় মার্কেট আর শপিংমল খোলার কথা কিন্তু তার আগে থেকেই ভিড় লেগে যায় দোকান মালিক কর্মচারীদের। দিনের শুরুতেই স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কাহীন। চোখে পড়ে অকেঁজো জীবাণুনাশক টানেল ও দূরত্ব শূন্যের কোঠায়। সকালে ধূলাবালি ঝেড়ে পসরা সাজিয়ে বসতে বসতে দুপুর গড়ায় ফুটপাতের দোকান মালিকদের। সময় গড়াতেই চেহারা পাল্টে যেতে থাকে বাজারের। তবে গত বছর জীবাণুনাশক টানেল ছাড়াও কিছু স্বাস্থ্যবিধি মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিলেও এবার তার পুরোপুরি অনুপস্থিত রয়েছে। বেলা বাড়তেই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ শর্ত হুমড়ি খেয়ে পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা আর মানানোয় ক্রেতা বিক্রেতাদের মুখোমুখি দোষারোপে। মুন্সীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার কথা বলেছি। বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও ক্রেতারা মানছেনা। তবে মার্কেট ও শপিংমলের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ার যে শঙ্কা তা ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সচেতনতার ওপরই নির্ভর করছে বলে মনে করে মালিক সমিতি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে অবশ্যই মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
মুন্সীগঞ্জে মার্কেট খোলার প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি মানা আর না মানার দ্বন্দ্বে ক্রেতা-বিক্রেতা
আগের পোস্ট