নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান (৩৮) হত্যার ৭ বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মোবাইল, মানিব্যাগ চুরিকে কেন্দ্র করেই খোকন নামের এক মাদকাসক্তের হাতে মিজানুর খুন হয়েছে বলে জানিয়েছে মুন্সীগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ ঘটনায় হত্যাকারী খোকন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।
পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হক আরো জানান, ২০১৬ সালে হত্যাকান্ডের ঘটনাটির ২০২২ সালে তদন্তভার পায় মুন্সীগঞ্জ পিবিআই। পরে নিহত মিজানুরের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান শুরু করা হয়। হত্যাকান্ডের পর নিহতের বাবার দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে খোকন আগেই গ্রেফতার ছিল। তবে এতদিন সে ঘটনার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেনি। গত মঙ্গলবার আদালতের আদেশে তাকে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে পিবিআই গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদের করার একপর্যায়ে গত বুধবার নিহত মিজানুরকে হত্যার কথা স্বীকার করে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয় খোকন।
ঘটনার বর্ননা তুলে ধরে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন নিহত মিজানুর তার ভাড়া বাসায় খাটে মাথার পাশে মোবাইল ও মানিব্যাগ রেখে শোয়া ছিল। বাড়ির দরজা খোলা পেয়ে মাদকসেবী খোকন ঘরে গিয়ে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি করার চেষ্টা করলে মিজানুর জেগে চোর, চোর বলে চিৎকার দেয়। এসময় খোকন তার হাতের সামনে থাকা তালা দিয়ে আঘাত করে মিজানুরকে গুরুতর আহত করে। পরে গামছা পেঁচিয়ে দম বন্ধ করে হত্যা করে। পরে আঘাত করা সেই তালা দিয়ে ঘরে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যায় খোকন। পুলিশ সুপার জানান, খোকনকে পুনরায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমের ভাড়াবাড়ির ৩য় তলা থেকে রামপাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আঃ সামাদ শেখ হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকারী খোকন মিরকাদিমের নগর কসবা এলাকার কানন বেপারীর ছেলে।