নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের তিনটি নির্বাচনি আসনে ২৮ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে শুরুতে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের কাজ শুরু হয়। পরে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। সর্বশেষে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থীদের মাঝে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আবুজাফর রিপন বিপিএএ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন। মুন্সীগঞ্জের তিনটি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থী প্রতীক পেয়ে নির্বাচন যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়েছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দলের দলীয় প্রার্থী ছাড়াও ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। মুন্সীগঞ্জের তিনটি নির্বাচনি আসনে মোট ৩২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করেন। যাচাই-বাছাই পর্বে নানা কারণে ৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে আপিলের মাধ্যমে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পায়। এদিকে জাকের পার্টির প্রার্থীরা তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ২৮ জন প্রার্থী। গতকাল সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম চলে।
মুন্সীগঞ্জ-০১ আসনে (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপি এড. অন্তরা সেলিম হুদা (সোনালী আঁশ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ মাহি বি চৌধুরী (কুলা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আতাউল্লাহ (বটগাছ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি দোয়েল আক্তার (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেস নূরজাহান বেগম (ডাব), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি লতিফ সরকার (একতারা), স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীরকে (ট্রাক) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই আসনে মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ এর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীরের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মুন্সীগঞ্জ-০২ আসনে (টঙ্গীবাড়ী-লৌহজং) আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলিকে (নৌকা), আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা (ট্রাক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপির) মো. জালাল ঢালী (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মোহাম্মদ সহিদুর রহমান (চেয়ার), বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী কামাল খাঁন (ডাব), সাবেক স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইরাজ খান (ঈগল), তৃণমূল বিএনপির মো. জাহানূর রহমান (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মো. বাচ্চু শেখ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের নূরে আলম সিদ্দীককে (ছড়ি) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মুন্সীগঞ্জ-০৩ আসনে (মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া) আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস (নৌকা), জাতীয় পার্টির রফিক উল্লাহ (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন (কেটলি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ বাবুল মিয়া (চেয়ার), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ মমতাজ সুলতানা আহমেদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ ইসলমিক ফ্রন্ট মুহাম্মদ ওমর ফারুক (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব (কাঁচি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আজিম খান (ঈগল), বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মো. দুলাল হোসেন মন্ডল (একতারা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মো. শাহিন হোসেনকে (ছড়ি) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের মৃণাল কান্তি দাসের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ আবুজাফর রিপন বিপিএএ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।