ঢাকা থেকে দক্ষিণ বঙ্গগামী সকল প্রকার যাত্রী পরিবহন ঢাকায় ফেরত
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ ৩টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত জেলা পুলিশের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সরকার ঘোষিত জরুরী পরিসেবার বাইরে কোন প্রকার যাত্রীবাহী যানবাহন এ জেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়া এলাকায় ঢাকা থেকে আসা যাত্রীবাহী গাড়ি ঢাকায় ফেরত পাঠাচ্ছেন চেকপোস্টের পুলিশ।
গতকাল রবিবার সকাল থেকেই দেখা যায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ। যাত্রীবাহী প্রাইভেট গাড়ি ও মোটর সাইকেলে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে ছুটছেন দক্ষিণ বঙ্গগামী যাত্রীরা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। কারো কোন অনুরোধ বা অজুহাত না শুনে ঢাকার গাড়ি আবার ঢাকামুখী ফেরত পাঠাচ্ছেন তারা।
এ সময় মুন্সীগঞ্জের ধলেশ^রী ব্রীজ সংলগ্ন কুচিয়ামোড়া চেকপোস্টে দেখা গেছে, কুয়েত প্রবাসী ২ জন ও মালদ্বীপ প্রবাসী ২ জন পড়েছেন বিপাকে। তারা জানান, তাদের কেউ যাবেন পিরোজপুর ও ঝালকাঠি। তারা বিমানবন্দর থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। বাড়ি গিয়ে তারা ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন করবেন এমন নির্দেশনা দিয়ে তাদের বিমানবন্দর থেকে ছাড়পত্র দেয়। তবুও পুলিশ তাদের ঢাকায় ফেরৎ পাঠাতে চাচ্ছে। তারা ঢাকায় কোথায় থাকবেন, কিভাবে খাবেন এসব বলেন বিদেশ ফেরত যাত্রীরা।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও ক্রাইম মাহফুজ আফজাল জানান, তাদের বিষয়টি যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত। মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ ঈদের ছুটি এবং সরকারের ছুটি সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ, খাদ্য, সার, গ্যাস, ওষুধ এসব পরিসেবার চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যারা স্বাধীকারপ্রাপ্ত নন তাদের এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলা বা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করতে ৩০ মে পর্যন্ত চেকপোস্ট অব্যাহত থাকবে।