মুন্সীগঞ্জ জেলা বোমায় রুপান্তরিত, বিস্ফোরণের অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক
যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় ও সংরক্ষণ ও আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউন এবং গ্যাস লাইনের লিকেজ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস লাইন ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে পুরো মুন্সীগঞ্জ জেলা। এ জেলা এখন অগ্নিকান্ড বিস্ফোরণের অপেক্ষায়। মুন্সীগঞ্জের এমন কোন বাজার নেই যেখানে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের দোকান পাওয়া যাবে না। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনিরাপদভাবে গড়ে ওঠেছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের দোকান। যারা সিলিন্ডার বিক্রয় করছেন তাদের গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় ও সংরক্ষণের নেই কোন সাধারণ জ্ঞান। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, মুদি দোকানে এবং বিভিন্ন দোকানে যত্রতত্র বিক্রিয় হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল। বাজার এলাকা ও রাস্তা-ঘাটের ধুমপায়ীদের কারণে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। কিছুদিন পরপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করলেও তেমন কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না। যে অর্থদন্ড ধার্য করা হয়, তা এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য নগণ্য মাত্র। তাই এসব অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় ও প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজন কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োগ। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস লাইন, লিকেজ অবস্থা, অনিরাপদ গ্যাসের লাইজার, অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে পুরো জেলা রুপান্তরিত হয়েছে বোমা হিসাবে। যেকোন সময় ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তিতাস গ্যাসের অফিসে বিভিন্ন সময় আবেদন ও যোগাযোগ করলেও তাদের কার্যক্রম প্রতিশ্রুতির মধেই আটকে থাকে। কোন যুগোপযোগী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায় না। কিছুদিন আগেও স্থানীয় জেলার প্রায় সব পত্রিকা ও বিভিন্ন জাতীয় অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে। উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সকালে মুন্সীগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নের সুখবাসপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউনে ঘটেছে ভয়ানক দূর্ঘটনা। মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দক্ষতার কারণে কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও ঘটতে পারতো নারায়ণগঞ্জের চেয়েও ভয়াবহ দূর্ঘটনা। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ঘটে গেছে বড় বড় অগ্নিকান্ড দূর্ঘটনা। মুন্সীগঞ্জবাসীর দাবি প্রশাসন ও তিতাস গ্যাস কর্র্তৃপক্ষ দ্রুত কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধ, অনিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় ও প্রদর্শন বন্ধ এবং তিতাস গ্যাসের ত্রুটিসমূহ দূরকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে মুন্সীগঞ্জ জেলাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত বাসযোগ্য জেলা হিসাবে গড়ে তুলবে।