নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন বেশ কয়েকজন এমপি প্রার্থী। তন্মধ্যে গতকাল রবিবার উজ্জীবিত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী তোফাজ্জল হোসেন নির্বাচনী এলাকা ১৭১ এর মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের ২য় বারের মতো মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি সবসময়ই ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে শ্রীনগর উপজেলার উন্নয়নের কথা ভেবে তাদের পাশে শক্ত ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। একজন ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির বিনয়ী ত্যাগী এই নেতাকে মুন্সীগঞ্জে-১ আসনের এমপি হিসাবে দেখতে চায়।
মোঃ তোফাজ্জল হোসেন নবম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন ছাত্রলীগে যোগদান ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে শ্রীনগর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য দায়িত্বে থাকার পর ১৯৭৬ সালে শ্রীনগর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ছাত্রলীগ মনোনীত শ্রীনগর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হওয়ার ২ বছর পর ১৯৮২ সালে শ্রীনগর উপজেলায় হাতেগোনা কয়েকজন আওয়ামী লীগের ছিলেন। তিনি নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দক্ষ পারদর্শিতার সাথে নিজের অবস্থান শক্তভাবে ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের ছায়াতলে রেখে শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য এবং দীর্ঘদিন একনিষ্ঠভাবে দলের জন্য কাজ করে ১৯৯২তে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ অর্জন করেন। ২০০২ সালে সরাসরি কাউন্সিলের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই সাথে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্যও। ২০০৬ সালে বিএনপি নির্বাচিত হওয়ার পর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা র্যালীতে বিএনপি ও জামাত অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। সেই সন্ত্রাসী হামলায় ডান হাত ভেঙে ও লাঠির আঘাতে মুখের ২৮টি দাঁত ভেঙ্গে পড়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় নেতাকর্মীরা তাকে ঢাকা ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করান। দীর্ঘ এক মাস কোমায় থাকার পরে মৃত্যুর ঘর থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।
২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর ২য় বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হন। সাম্প্রতিক আওয়ামী লীগের সভাপতির অনুপস্থিতিতে তিনি সার্বিকভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন এবং তার একক দূরদর্শিতার কারণে ২০২১ সালে উপজেলার মধ্যে ১৪টি ইউনিয়নের সম্মেলন সম্পাদন করেন। তার রাজনৈতিক জীবনবৃত্তান্ত ছাড়াও সামাজিক অবদান ও মর্যাদা রয়েছে আকাশচুম্বী।
শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী তোফাজ্জল হোসেন জানান, আমার রক্তের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আওয়ামী লীগের আদর্শ জড়িত। আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার হৃদয়স্থল থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত কাজ করে যাবো।