নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ নির্বাচিত হওয়ায় জনগণের আশা-আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়েছে। শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার সাধারণ মানুষ মনে করছেন তাদের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হবেন এই বর্ষীয়ান নেতা। কারণ হিসেবে তারা মনে করেন মহিউদ্দিন আহম্মেদ মাটি ও মানুষের নেতা, একজন সিংহ পুরুষ। তার জীবনটা মানুষের জন্য রাজনীতিতে কেটেছে। ১৯৮৪ সাল থেকে টানা ৫ বারের নির্বাচিত মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এরপর টানা ৩ বারের সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ৭৪ বছর বয়সী এই নেতা ৫৫ বছর যাবৎ রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়া ৩০ বছর যাবৎ সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি। এই বর্ষীয়ান নেতা সকল শ্রেণির মানুষকে ভালোবাসেন, কাছে টেনে নেন। সবসময় মানুষের সুবিধা-অসুবিধায় তিনি পাশে থাকেন। তাই মানুষ তাকে ভালোবেসে এবং শ্রদ্ধা করে বিপুল পরিমাণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। শুধু তাই নয়, বিগত দিনে এ আসনে অনেকেই এমপি হয়েছেন তারাও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে এতো বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হতে পারেননি।
সিরাজদিখান এলাকার অনেকে বলেন, মহিউদ্দিন আহম্মেদ দল-মত নির্বিশেষে আমাদের নেতা। আমরা সিরাজদিখানবাসী ৫০ বছর পর এই অঞ্চলের একজন এমপি পেলাম। এর আগে আমরা লৌহজংয়ের এমপি বা শ্রীনগরের এমপি পেয়েছি। এতটা সময় আমরা কাছের কোন নেতা পাইনাই। আমরা গর্ববোধ করি তাকে নিয়ে।
শ্রীনগর উপজেলার অনেকে জানান, মহিউদ্দিন আহম্মেদ একজন তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতা, একজন মাটির মানুষ, ভালো লোক। তাই আমরা ৯ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে তাকেই পছন্দ করে সিরাজদিখানের চেয়ে তুলনামূলক বেশি ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করেছি। তাছাড়া নির্বাচনের আগেই আমরা বলেছিলাম আমাদের শ্রীনগর থেকে এমপি অনেকবার হয়েছে। মহিউদ্দিন ভাই ভালো লোক। তিনি সন্ত্রাস পছন্দ করেন না। কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। এলাকার উন্নয়ন ও শান্তির জন্য তাকেই দরকার। সেজন্য এবার আমরা সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছি।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলাবাসী আমাকে যে ভালোবাসে সেই ভালোবাসাই এর প্রমাণ। সব কৃতিত্ব তাদের। এটুকু কথা দিতে পারি, আমি আপনাদের মহিউদ্দিন আপনাদের ছিলাম, আছি। ইনশাল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকবো আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আপনাদের এই দুই উপজেলার উন্নয়নে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন রক্ষা করতে চাই। মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে আমি কখনো কৃপণতা করিনাই। আপনাদের ভালোবাসায় আমি সিক্ত। আপনাদের কাছে আমি ঋণী। আপনারা আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন আমি যেন তা রক্ষা করতে পারি। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।