নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর বাজারগুলোতে খাদ্যসামগ্রীর মূল্যতালিকা অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নেই। যেগুলোতে আছে তারা তা প্রতিষ্ঠানের কোণায় ফেলে রাখে। বাজারমূল্যের চেয়ে প্রতিটি পণ্যেরই মূল্যবৃদ্ধি করে বিক্রি করে অসাধু বিক্রেতারা। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার টঙ্গীবাড়ী বাজার মনিটরিং করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম সোহাগ। তার উপস্থিতি টের পেয়ে বাজারের বিক্রেতাগণ তড়িঘড়ি করে মূল্যতালিকা প্রদর্শন করেন। সেখানে দেখা যায়, নিয়মিত আপডেট নেই মূল্যতালিকার। আর যাদের তালিকা রয়েছে অধিকাংশই কাটাকাটি করা। বাজারে একই পণ্যের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন দোকানে ভিন্ন ভিন্ন এবং পণ্য প্যাকেটজাতকরণেও কারচুপি লক্ষ্য করা যায়।
বাজারের ফল মার্কেটের একটিরও কোন মূল্যতালিকা নেই। ফল বিক্রি করে প্যাকেট করার প্রতিটির ওজন ৭০ থেকে ১২০ গ্রাম পর্যন্ত রয়েছে। তাছাড়া ৭৪ টাকার চিনি ৭৮ টাকা, ২৮ টাকার পেঁয়াজ ৩২ টাকা, ১৬০ টাকার বয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়।
মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় এবং ওজনে কম দেওয়ায় ফল বিক্রেতা দুটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ মোতাবেক মোঃ আনোয়ারুল ইসলামকে এক হাজার টাকা ও হানিফ শেখকে দুই হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে ক্রেতা-বিক্রেতাগণকে সচেতন করা হয়।
ক্যাব টঙ্গীবাড়ী সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জানান, রমজানকে সামনে রেখে অসাধু বিক্রেতাগণ অধিক মুনাফার লোভে মারাত্মক অনিয়ম করছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে ভোক্তারা সুফল পাবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম সোহাগ জানান, কোনক্রমেই দ্রব্যের অতিরিক্ত মূল্য রাখা যাবে না। ক্রেতা ভোক্তার সাথে মূল্য, ওজন, গুণগত মান নিয়ে কোন প্রতারণা করা যাবে না।