নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে রুসদী উচ্চ বিদ্যালয়ে গভর্নিং বডি নির্বাচনে প্রার্থীতায় অনিয়ম ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে অভিভাবকেরা। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা পরিষদ গেইটে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের রুসদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের স্বেচ্ছাচারিতা, জাল-জালিয়াতি ও একক নিয়ন্ত্রণের ফলে ভেস্তে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের মূল শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ আগামী ২৩ জুলাই আসন্ন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে অযোগ্যদের যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে আশ্রয় নিয়েছেন একাধিক প্রতারণার। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও আসন্ন অভিভাবক প্রতিনিধি প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আওলাদ হোসেন প্রধান শিক্ষকের সার্বিক সহযোগিতায় অনৈতিক পদ্ধতিতে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। আওলাদ হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণী পাশ হলেও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ভূয়া কাগজযোগে তাকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে দেখান। দীর্ঘসময় অনৈতিকভাবে দায়িত্ব পালন করলেও পুনরায় কিভাবে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পুনরায় নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে বিস্মিত সুশীল সমাজ। প্রতারণা ছাড়াও আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজধারী মামলাসহ রয়েছে কর ফাঁকির অভিযোগ। অন্যদিকে তার সন্তান ঢাকায় লেখাপড়া করলেও বিদ্যালয়ের কাগজপত্রে রুসদির ছাত্র হিসেবে প্রদর্শন করা হয়। শিক্ষকের জাল-জালিয়াতির বিষয় নিয়ে গত ২৮ জুলাই ২০২১ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে শিক্ষা বোর্ড প্রধান শিক্ষক মিজানুরের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানপূর্বক সাবেক সভাপতি এড. মোহাম্মদ আলীকে এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করা করা হয়। আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে বিদ্যালয়ে ২ লাখ টাকা আওলাদ প্রদান করলেও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কাগজপত্রে ১ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। অনেকে দাতা সদস্য হওয়ার আগ্রহ দেখালেও তাদেরকে গ্রহণ না করে নিজ ধারার ব্যক্তিদের দাতা সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেন। শিক্ষক প্রতিনিধি বাছাইয়ে সকল শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াসমিনকে মনোনীত করলে প্রধান শিক্ষক তা বাতিল করে নিজের ইচ্ছামাফিক নুরুন নাহারকে মনোনীত করেন। আগামী ২৩ তারিখ ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোন সময় দীর্ঘদিনের জমাট বাঁধা বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হোসেন পাটোয়ারী বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।