নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌদিতে প্রবাসে বন্ধুর হাতে প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারাতে বসছে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাঁওদিয়া ১নং ওয়ার্ড বয়াতি বাড়ীর মো. জিন্নাত বয়াতির ছেলে মো. শামীম। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইল জেলায় কালিহাতি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শামীমের পিতা জিন্নাত বয়াতি।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতারক বন্ধু মো. আশরাফ টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার নাগবাড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চালা সারাই গ্রামের মো. জাফর মিয়ার ছেলে।
সূত্রে আরো জানা যায়, লৌহজংয়ের গাঁওদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাঁওদিয়ার জিন্নাত বয়াতির ছেলে মো. শামীম ২০১৯ সালে সৌদি যায়। একইসাথে কাজ ও রুমে থাকার সুবাদে পরিচয়ের বিভিন্ন লেনদেনের সূত্র ধরে উভয়ের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এরই মধ্যে সৌদি আরব থেকে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে প্রতারক মো. আশরাফ গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ১ মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করে ২০ হাজার রিয়াল ধার নেয়, যা বাংলা টাকায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। ১ মাস পর টাকা দেয়ার কথা থাকলেও প্রতারক আশরাফ তার মায়ের অসুস্থতার এবং পরিবারের সমস্যা কথা বলে আরো ১ মাস সময় নেয়। পরে দেশে গিয়ে দিবে বলে চলে আসে।
সৌদি প্রবাসী শামীমের পিতা জিন্নাত বয়াতির পরিবারের লোকজন প্রথমে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তারা তখন লোকজন নিয়ে পাওনা টাকা চাইতে টাঙ্গাইল কালিহাতি যায়। তবে আশরাফ সৌদি থেকে লেনদেনের কথা স্বীকার করে। কয়েকদিন পর আবার তার বাড়িতে গিয়ে টাকা চায়। তিনি শর্ত দেন যার সাথে লেনদেন তাকে দেশে আসতে হবে নাহলে টাকা দেবো না। আশরাফ ও তার দুই বোন টাকা না দেয়ার কথা বলেন। এছাড়া পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি ও প্রাণনাশের ভয় দেখায়।
নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মো. নূরু হোসেন বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থেকে কয়েকজন আসছিল আমার ওয়ার্ডের মো. জাফর মিয়ার ছেলে আশরাফের কাছে পাওনা টাকা চাইতে। তবে আশরাফ পরিবারের লোকজন আমাকে অমান্য করায় বিষয়টি সমঝোতা করতে পারিনি।
এ বিষয়ে সৌদি ফেরত প্রতারক মো. আশরাফকে মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করলেও সে ফোন না ধরায় তা বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তার বোনদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কালিহাতি থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, থানায় অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। একটু সময় লাগবে। আইনি পদক্ষেপ চলমান।