নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের বিভিন্ন স্থানে ভেঁকু মেশিনের মাধ্যমে ফসলি জমি কাটা এবং অবৈধভাবে ড্রেজার ব্যবহার করে কৃষিজমি ভরাট কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে লৌহজং উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, লৌহজংয়ে অবৈধ ড্রেজার ও ভেঁকু মেশিন ব্যবহারকারীর সঠিক তথ্য পেলেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল আউয়াল এর নির্দেশে লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইলিয়াস শিকদার একাধিকবার অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও খনন যন্ত্রের মালিকদের জরিমানা করেছেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভেঁকু মেশিন ব্যবহার ও অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে কৃষিজমি ভরাটের অভিযোগ পেলে সাথে সাথে কাজ বন্ধ ও কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যেসব জমিতে বছরে তিনটি ফসল হয়, সেসব জমি ধ্বংস না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লৌহজং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন তপন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, চাষযোগ্য তিন ফসলি জমিতে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান, কোন বাড়িঘর তৈরি করা যাবে না। বরং এ ধরনের জমিগুলোকে রক্ষা করতে হবে। সঠিক ব্যবহার করে খাদ্য নিরাপত্তা ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। সীমিত জায়গায় বিশাল জনগোষ্ঠীর উপকারের জন্য ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের এক ইঞ্চি জমিও খালি না রাখার জন্য বলেছেন। লৌহজং উপজেলা পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল আউয়াল জানান, লৌহজং উপজেলায় অবৈধ ড্রেজার ও ভেঁকু মেশিন দিয়ে কৃষিজমি কাটা ও ভরাটের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান কার্যক্রম চলবে। আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মাসিক সভায় গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা এ পর্যন্ত অনেকগুলো জায়গায় ড্রেজার ও ভেঁকু মেশিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দুই একটি স্থানে রাতের আঁধারে কাজ করলেও আমাদের কাছে তথ্য আসলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনি আরও বলেন, অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে যেকোন লোক তথ্য দিলে সাথে সাথে ঐ স্থানে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।