নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের মশদগাঁও সোসাইটির পশ্চিম পাশে কৃষকের ধান ক্ষেতে অবৈধ ড্রেজার পাইপ বসিয়ে জমি ভরাট বাণিজ্য করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মানিক ঢালী গং, দেখার কেউ নেই। তবে উপজেলা প্রশাসন সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন ড্রেজার বাণিজ্য বন্ধের। এরই মধ্যে উপজেলার কয়েকটি স্থানে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ড্রেজার পাইপ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের মশদগাঁও সোসাইটির পশ্চিম পাশে কৃষকের স্বপ্ন সোনালী ধানক্ষেতের উপর দিয়ে বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করে অবৈধ ড্রেজার পাইপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে লৌহজং বাজার পাকা ব্রীজের নিচ দিয়ে রাশেদ শেখের দোকান ও রাস্তা বোরিং করে পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছে কনকসার উত্তর দিক দিয়ে কৃষকের ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে দক্ষিণে একটি পকেটে গিয়ে পাইপ থেমে আছে। সম্ভাব্য রাতে বালি ফেলা হবে এই স্থানে।
কৃষক মোঃ চাঁন মিয়া মাদবর বলেন, আমি ১২ হাজার টাকা দিয়ে ক্ষেত রেখে ধান বুনেছিলাম। আমার ধানক্ষেতের উপর দিয়ে পাইপ বসিয়ে কৃষিজমির ধান নষ্ট করায় আমি জমিতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে গলা ধাক্কা ও গায়ে হাত দিয়ে গালমন্দ করে। পরে আমি থানায় গিয়ে আমাকে মারধর ও ধানক্ষেত নষ্ট করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধানচাষী একাধিক কৃষকের অভিযোগ, মোঃ মানিক ঢালী (৩২) পিতা- মৃত মুনসুর ঢালী, তার সাথে ড্রেজার বাণিজ্য অংশীদার মিরাজ খান (২৮) পিতা- বাবুল খান, মোঃ আরিফ খান (২৭) পিতা- শহীদ খানসহ আরো ৬/৭ জনের এই বাণিজ্য। তারা গতকাল এক কৃষকের ধানক্ষেতের উপর দিয়ে পাইপ নেয়। প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করে। পরে সে লৌহজং থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।
অবৈধ ড্রেজার পাইপ বসিয়ে বাণিজ্যজকারী মানিক ঢালী বলেন, কৃষকের ধানক্ষেতের কোন ক্ষতি হবে না। যদি ক্ষতি হয় আমি পূরণ করে দেব। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে ড্রেজার বাণিজ্য অবৈধ আপনি জানেন কি? তিনি বলেন, জানি। তবে কি করবো কাজের অভাব।
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, অবৈধ ড্রেজার পাইপ কনকসারের কোথায় তা আমার জানা নেই। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কৃষকের ধানক্ষেত দিয়ে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে কাজের কোন সুযোগ নেই। খুব শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।