নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ চত্বরে গতকাল বুধবার উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের আয়োজনে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৬ জন জেলেকে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় জেলে রফিক ইসলাম, মান্নান ফরাজী, রহমান দেওয়ান বলেন, গত কয়েকদিন হলো বকনা বাছুর পাওয়ার খবর পেয়ে স্বপ্ন দেখি বাছুরটি ১০ বছর লালনপালন করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করবো। ইলিশ সংরক্ষণ সময় সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবো, নিজেদের ভাগ্য নিজেরা পরিবর্তন করবো। আমরা হবো বড় খামারী।
সেই সাথে কর্তৃপক্ষের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রথম ৩২ জন পরে আরও ১৬ জনসহ মোট ৪৮ জন জেলেকে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। এ কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত জেলেদের বাড়িতে গিয়ে বাছুর লালনপালনের খোঁজ রাখছেন। কোন বাছুরের সমস্যা দেখা গেলে সাথে সাথে উপজেলা প্রাণিসম্পদের মাধ্যমে ফ্রিতে ঔষধ ও চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। জেলেদের কর্মসংস্থান তাদের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লৌহজং উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তপন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছেন। সারা বাংলাদেশে জেলেদের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি বকনা বাছুর বিতরণের কর্মসূচি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছেন। এ বাছুর পালনের মাধ্যমে জেলেদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ইলিশ মাছ সময়মতো বিস্তার লাভ করতে পারলে এটা আমাদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে আমাদের দেশের কাজে আসবে। ইলিশ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুনাফা অর্জন করতে পারি যা আমাদের দেশের উন্নয়নে কাজে আসে।
এসময় উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ ও জেলেরা উপস্থিত থেকে বকনা বাছুর গ্রহণ করেন।
লৌহজংয়ে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বকনা বাছুর বিতরণ
আগের পোস্ট