নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে চিরুনী পড়া ও তাবিজ দেয়ার কথা বলে ননদ-ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলার আসামি তরুণ তালুকদার ওরফে তরুণ পীরকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার উপজেলার খিদিরপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
লৌহজং থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামীকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার রাতে নির্যাতিত কিশোরীর (১৫) বাবা মো. সেলিম মিয়া অভিযুক্ত তরুন তালুকদারের (৩৮) বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা দায়ের দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের কালুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তালুকদারের ছেলে তরুন তালুকদার (তরুণ পীর) প্রায় সময় আমার মেয়ে মোসাঃ লাইজু খাতুন (১৫) কে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। গত বুধবার সকালে বিবাদী আমাদের ভাড়াটিয়া বাসার উঠানে এসে আমার মেয়েকে একটি কাগজে আমার ও আমার স্ত্রীর নাম লিখে রাখতে বলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাদের ভাড়া করা বাসার পাশে পুকুর পাড়ে আমার মেয়ে একা বসেছিল। তখন বিবাদী মেয়ের সামনে এসে উক্ত কাগজটিসহ একটি চিরুনী নিয়ে আসতে বলে। মেয়ে তার কথামতো একটি চিরুনী ও কাগজটি ঘর থেকে নিয়ে এসে বিবাদীর হাতে দেয় এবং মেয়েকে দুপুর আড়াইটার সময় তার দোকান ঘরে যেতে বলে। মেয়ে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কাউকে কিছু না বলে কালুরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার দোকান ঘরের ভিতরে গেলে তাকে বিভিন্ন ধরনের কু-মন্ত্র পাঠ করে সারা শরীরে ফুঁ দিয়ে তার পড়নের জামা-কাপড় খুলে ফেলতে বলে। তখন বিবাদীর কথায় রাজি না হইলে জোরপূর্বক মেয়েকে দোকান ঘরের কাঠের মেঝেতে শুয়াইয়া বিবস্ত্র করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। মেয়ের ডাকচিৎকারে আমাদের পাশের বাড়ির প্রতিবেশী মোসাঃ খাদিজা বেগম এসে উক্ত দোকান ঘর থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে আমার বাসায় নিয়ে আসে।
কিশোরীর বাবা মো. সেলিম মিয়া গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সপরিবারে কালুগাঁও গ্রামে সালমার বাসায় ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় দিনমজুর। তিনি বলেন, কৃষিকাজ শেষে বাড়িতে এসে জানতে পারি, একই গ্রামের তরুণ তালুকদার আমার কিশোরী মেয়ে ও আমার ভাইয়ের ছেলের বৌ (১৮) এর সাথে এসব অপকর্ম করেছে।