নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু (উত্তর) থানার পুলিশ গত বুধবার রাত ১টা ৩০ মিনিটে ২২ কেজি গাঁজাসহ সিএনজি চালক মোঃ আমির হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সাথে থাকা দু’জন পালিয়ে যায়।
জানা যায়, পদ্মা (উত্তর) থানা পুলিশের নিয়মিত টহলের সময় মেদেনীমন্ডল ইউনিয়ন দক্ষিণ মেদেনীমন্ডলে মোঃ আব্দুল লতিফের মালিকানাধীন পদ্মা জেনারেল স্টোরের সামনে থেমে থাকা সিএনজির ভিতরে গাঁজা ভর্তি দুটি চটের বস্তা পাওয়া যায়। এসময় পদ্মা সেতু উত্তর থানার এএসআই (নিঃ) মোঃ আনিচুর রহমান, এসআই (নিঃ) তাইফুর রহমান ও আশিকুর রহমান সন্দেহজনকভাবে সিএনজিসহ তিনজন ব্যক্তিকে দেখে গাড়ি থামিয়ে সিএনজির মধ্যে থাকা চটের বস্তার মধ্যে কি জানতে চায়। একপর্যায়ে দু’জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন সিএনজি চালককে আটক করে তার সাথে থাকা বস্তা খুলে গাঁজা পাওয়া যায়। গাঁজাসহ তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মোঃ আমির হোসেন (সিএনজি চালক) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মণদী ইউনিয়নের ছোট মনোহরদি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। ৬টি পোটলায় ২২ কেজি গাঁজা যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, গাঁজার এই চালানটি ঢাকার কেরানীগঞ্জ অথবা লৌহজংয়ের গোয়ালীমান্দ্রায় যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। গত বুধবার গোয়ালীমান্দ্রায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকবিরোধী আন্দোলন করেছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ধারণা করছেন যে, এই চালানটি গোয়ালীমান্দ্রায় প্রবেশ করতো। তাদের মাদকবিরোধী আন্দোলন ছিলো ভিন্নরকম কৌশল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মোঃ তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, নিয়মিত টহলে মাদকের এই চালানটি সিএনজি চালকসহ আটক করা হয়েছে। নৌপথে গাঁজার এই চালানটি এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিএনজিতে লোড করার সময় তাকে আটক করা হয়। আমার মনে হয়, শুধু ২২ কেজি নয়, আরও গাঁজা রয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চালানো হবে।