নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখালে খাল ভরাট করে প্লট বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। শ্রীনগর-দোহার আঞ্চলিক সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রীনগর-২ (৩৩/১১ কেভি, ২০/১৮ এমডিএ) রাঢ়ীখাল উপকেন্দ্রের পশ্চিম পাশে দৃশ্যমান সড়কের নয়ন জুলীর জায়গাসহ খাল ভরাটের কর্মযজ্ঞ চলছে। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য আলমগীর, শোয়েব, রাসেলের বিরুদ্ধে খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহলটি সরকারি খাল ভরাট করে কোটি কোটি টাকার জায়গা নিজেদের দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিছুদিন আগে স্থানীয় ভূমি অফিসের লোকজন খালটি ভরাটের হাত থেকে রক্ষার জন্য এই স্থানে লাল নিশান সাঁটিয়ে দিয়ে যান। অথচ ভূমি সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাতের আঁধারে দূর থেকে ড্রাম ট্রাকে করে মাটি এনে খাল ভরাট শুরু করে। এরই মধ্যে খালের প্রায় দেড়শত ফুট আঞ্চলিক সড়ক সমান ভরাট হয়ে গেছে। এতে করে রাঢ়ীখালের বিস্তীর্ণ চকের বিলের অসংখ্য কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রান্তিক কৃষকরা প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মহলটির বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এর আগে ড্রেজার দিয়ে জমি ভরাট করে মহলটি প্লট বিক্রি শুরু করে। অন্যান্য কৃষিজমির ওপর দিয়ে যত্রতত্রভাবে ড্রেজারের দীর্ঘ পাইপ লাইনের সংযোগ দেয়। ফুটাফাঁটা পাইপ দিয়ে বিভিন্ন কৃষিজমিতে বালু পড়ার ফলে ফসলি জমির উর্বরতা কমে গেছে। ফসলের কাঙ্খিত উৎপাদন হচ্ছে না। এখন প্লট বিক্রির সুবিধার্থে খাল ভরাট করা হয়। এতে রাঢ়ীখালের অনেক ফসলি জমির পানি নিষ্কাশন হবে না। কৃষি ফসল আবাদে তারা বিড়ম্বনার শিকার হবেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আলমগীরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। শোয়েব জানান, আমরা প্লট বিক্রি করেছি। সামনের প্লট যে কিনে নিয়েছে সে খাল ভরাট করেছে। বিষয়টি তার ব্যাপার।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী মো. আমির হোসেন জানান, খবর পেয়ে সোমবার সরকারি খাল ভরাটকারীদের কাজ বন্ধ রাখতে বলে এসেছি। তারা যদি যথাযথ সময়ে না আসেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।