নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে গোন্ডেন সিটি এলাকায় চুরির ঘটনায় চোর শনাক্ত করা হয়েছে। সালিশের রায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত ১-২ মাস যাবৎ চোরেরা দিনে এবং রাতে প্রাইমারী স্কুলসহ অন্তত ১০-১২টি বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটায়। প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এতে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে ইমরান ও সৈকত নামে দুই চোরকে শনাক্ত করে সালিশ করে স্থানীয়রা। সালিশে ঐ দুই চোরকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হয়। পুনরায় দেখলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে রায় দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সালিশের এমন রায়ে এলাকায় জনসাধারনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানায়, এ কেমন সালিশ ? চোরদের থানায় না দিয়ে কেন ছেড়ে দেওয়া হলো ?
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের পশ্চিম দেউলভোগ গোল্ডেন সিটি ও শিমুল পাড়া এলাকায় গত ১-২ মাসের মধ্যে ষোলঘর ২নং সরকারী প্রাইমারী স্কুলসহ অন্তত ১০টির বেশী বাড়ীতে চুরি হয়। গত ১৪ জুন রাতে গোল্ডেন সিটি আলমগীর মিয়ার ভাড়াটিয়া হাফিজুল ষ্টোরের মালিক শামীমের মুদি দোকান থেকে চোরেরা রাতের আঁধারে তালা ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামালসহ একই রাতে আলমগীর মিয়ার বাসার নিচতলা থেকে একটি সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। গত কয়েকদিন আগে পাশেই দেলোয়ারের চায়ের দোকানের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। দুইমাস পূর্বে রহিম বেপারীর বাসার নিচতলা হতে অপ্সনিন কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভের একটি ডিসকভার কোম্পানীর মোটরসাইকেল চুরি হয়। এর কয়েকদিন পরেই এলাহীর বাসা থেকে একটি মটর ও পাশের নার্সারী থেকে একটি টিউবয়েলের মাথা, কয়েকটি লোহার থামার ও প্রাইমারী স্কুল থেকে একটি মটর, দুইটি টিউবয়েলের মাথা চুরি হয়। গত ১৪ জুন রাতে শিমুল পাড়া ফরহাদ মিয়ার ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে থাকা একটি ৩২ ইঞ্চি ফ্লাট টিভি ও একটি মোবাইল সেট ও একই রাতে পাশের বাড়ী থেকে একটি চাউলের বস্তা চুরি করে নিয়ে যায়। মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আলমগীর মিয়ার বাড়ীর সিসিটিভির ফুটেজে চোর সৈকতকে দেখতে পায়। এ নিয়ে গত ১৫ জুন স্থানীয়রা গোল্ডেন সিটিতে সালিশ বসায়। সালিশে গোল্ডেন সিটি রহমতে আলম শাহী জামে মসজিদের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শাহ-আলম মোল্লা চোর সৈকত ও ইমরানকে সনাক্ত করে ৫০ হাজার টাকা রায় দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে গোল্ডেন সিটি রহমতে আলম শাহী জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক শাহআলম মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদেরকে আমরা ধরেছি তারা অন্য দুইজনের নাম বলছে। আমরা তাদেরকে ধরতে পারিনাই। কাউকে চোর শনাক্ত করতে না পারলে আমরা তো তাকে শাস্তি দিতে পারি না।