নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী বাজার সংলগ্ন খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন পথচারী। জরাজীর্ণ সেতুটির পাটাতনের কাঠ উঠে যাওয়ায় সেতু পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অত্র এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এ সেতু পারাপারে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ইউনিয়নটির পূর্ব অঞ্চলের ১০ গ্রামের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারতে যাতায়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেহাল কাঠের সেতুটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিবন্দী বাজারের পূর্বপাশে মোল্লা বাড়ির সামনে খালের ওপর প্রায় ৩৫ ফুট দীর্ঘ কাঠের সেতুটি সংস্কারের অভাবে মানুষ পারাপারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুলটির পাটাতনের কাঠ অনেকাংশে উঠে যাওয়ায় চলাচলের স্থান ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এলাকার বৃদ্ধ ও শিশুসহ পথচারীর সেতু পারাপারে অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সেতু পারাপার হচ্ছেন। সেতুর পূর্বদিকের রাস্তাটি (বিবন্দী-পাঁচলদিয়া-কাজী পাড়া) হাট নওপাড়া-মালিরঅঙ্ক সড়কের সাথে সংযুক্ত হওয়ায় এদিকে অসংখ্য মানুষের যাতায়াত রয়েছে।
এসময় লক্ষ্য করা যায়, একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা কাঠের সেতু পার হওয়ার সময় সেতু ভেঙে সেতুর নিচে খাদে পড়ে যায়। নারী যাত্রীরা ইজিবাইকটি ঠেলে রাস্তায় উঠান।
স্থানীয়রা জানায়, কুকুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব অঞ্চলের ১০টি গ্রামে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিবন্দী মোল্লা বাড়ির সামনে ভাঙ্গা কাঠের সেতু পারাপার হতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দুর্ভোগ লাঘবে কাঠের সেতুটি সংস্কারের দাবী করছেন তারা।
এলাকাবাসী আরো জানান, বিবন্দী-পাঁচলদিয়া-কাজীপাড়া প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজ রহস্যজনক কারণে প্রায় ৬ বছরেও সম্পন্ন হয়ে উঠেনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিবন্দী মোল্লা বাড়ির পাশে খালের ওপর জরাজীর্ণ কাঠের সেতুটির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি পুলটি সংস্কারের জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় গণ্যম্যা ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে পুলের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
বিবন্দী-পাঁচলদিয়া হয়ে কাজীপাড়ার রাস্তাটির বিষয়ে তিনি জানান, রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টজনদের (এলজিইডি) তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।