নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের প্রাণীমন্ডল গ্রামে জোরপূর্বক মালিকানা জায়গা দখল চেষ্টা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার বাবুল শেখ (৫৫), ফারুক বেপারী (৫০), জমির মোড়ল (৫০), নুর ইসলাম (২৫), আব্দুল্লাহ (২৫), সেলিম (৫৫) সহ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শেখ হযরত আলীর (৮০) পুত্র মো. সোহেল অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সরেজমিনে গিয়ে টিনের ঘর ভাংচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে। এই দখল চেষ্টার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সংশ্লিষ্টতা থাকার তথ্য মিলেছে। স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ফারুক বেপারী ও বাবুল শেখের নেতৃত্বে বেশকিছু লোকজন সড়কের পাশে হযরত আলীর পুত্র সোহেলদের মালিকানা জায়গার ওপর সাইনবোর্ড টাঙ্গায়। এসময় হযরত আলীর পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে আসলে তাদেরকে মারধর করা হয়। সোহেলদের একটি টিনের ঘর ভাংচুর করে।
হযরত আলীর পুত্র সোহেল জানান, প্রাণীমন্ডল মৌজায় আরএস ২১২নং খতিয়ানের আরএস ৫০৯নং দাগে ১৪ শতাংশ জমি পৈতৃক সূত্রে ও ক্রয়সূত্রে ভোগদখল করে আসছি। কবরস্থানের রাস্তা নির্মাণের অজুহাতে জোরপূর্বক আমাদের জায়গাটি দখল চেষ্টা করছে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। অথচ কবরস্থানের জমিসহ রাস্তার জায়গা আমার বাবা দান করেছেন। কবরস্থানে যাতায়াতের রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। চক্রটি রাস্তার নামে বাড়ি দখল করার চেষ্টা করছে। বাঁধা প্রদান করলে বাড়ির মহিলাদের ওপর হাত তুলে ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে জানতে ফারুক বেপারীকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আমির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সত্য নয়। আমরা ক্রয়সূত্রে ওই জায়গার পাশে রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি ফেলছি। ৪১ শতাংশ জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।