নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নারী ইউপি সদস্যের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের মজিদপুর দয়হাটা মৌজার ৯ শতাংশ নাল জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠে শামীম খান গংয়ের বিরুদ্ধে। শামীম শেখ ভুঁইচিত্র গ্রামের সাহাবুদ্দিন ওরফে সাধুর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীরতারা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ডালিয়া তার বসতবাড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে মজিদপুর দয়হাটা মৌজার আরএস ১৩নং খতিয়ানের ৩৭১ দাগের ৯ শতাংশ জমি সাব-কবলা দলিল মূলে মালিক হয়ে ভোগ দখলে নিয়োজিত রয়েছেন। ঘটনার দিন শুক্রবার ইউপি সদস্য তার স্বামী সুজন খানকে নিয়ে জমির চারিদিকে টিনের বেড়া নির্মাণ করতে গেলে শামীম শেখসহ তার লোকজন এসে বাঁধা দেয়। প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্যসহ তার স্বামীকে নানা প্রকার ভয়-ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে শামীম শেখ গং চলে যায়।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যের স্বামী সুজন খান জানান, আমি দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ এই জমি ভোগ দখল করে আসছি। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক জমির প্রকৃত মালিক মৃত আজমত আলীর মেয়ে জসিমনের একমাত্র ওয়ারিশ জবেদা খাতুন খুকির ওয়ারিশ সনদ মূলে জবেদা খাতুনের নিকট থেকে ৬ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করে আমার স্ত্রী ডালিয়া সাব কবলা দলিল মূলে মালিক হয়। ঘটনার দিন আমাদের সম্পত্তিতে বেড়া দিতে গেলে শামীম শেখ গং বাঁধা দেয় এবং আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে নানা প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। পরবর্তীতে শামীম শেখ গং ও আমাদের দলিলের সনাক্তকারী শাওন হোসেন যোগাসাজশে এই জমির আরেকজন ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে সাড়ে ৪ শতাংশ জমির অন্য আরেকটি দলিল সৃজন করেন। দলিল সনাক্তকারী শাওন হোসেনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। এই শামীম খান ও শাওন চক্রটি এলাকার অনেক মানুষের সম্পত্তি এভাবে দলিল সৃজনের মাধ্যমে আত্মসাতের পাঁয়তারা করে আসছে।