নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে ছাড়পত্রবিহীন ড্রেজার স্থাপন করে বালু বাণিজ্য করা হচ্ছে। কাঁচা রাস্তা ও বসতবাড়ির ওপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে করে রাস্তার ক্ষতি করাসহ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে নদীর তীরবর্তী বসবাসকারীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। কামারগাঁও এলাকার জহির বেপারী ওরফে জহিরের বিরুদ্ধে এই ড্রেজার বাণিজ্য করার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-শ্রীনগর-দোহার সড়কের ভাগ্যকুল এলাকার কামারগাঁও বাজারের ৩ শত ফুট দক্ষিণে পদ্মা নদীর তীরে ড্রেজারের একটি সাব-স্টেশন করা হয়েছে। এখানে বাল্কহেড থেকে বালু ড্রেজারে উত্তোলন করা হচ্ছে। কাঁচা রাস্তা ও ওই এলাকার বসতবাড়ি দিয়ে যত্রতত্রভাবে ড্রেজার পাইপের সংযোগ করা হয়েছে। পাইপ লাইনের কারণে কাঁচা রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, ৪/৫ মাস যাবত এখানে জহির বেপারী ড্রেজারটি আনেন। প্রথমে রাস্তা কেটে পাইপ লাইনের সংযোগ দেয়া হয়। বাল্কহেড থেকে দিনে ও রাতে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রায় সময়ই মেশিনের বিকট শব্দে রাতে বাড়িতে ঘুমানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এছাড়াও পাইপের কারণে রাস্তায় চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এসময় ড্রেজার ও বাল্কহেডের লোকজন জানায়, তারা এখানে রোজে শ্রমিকের কাজ করেন। ড্রেজারের মালিক জহির বেপারী। তিনি এখানে নেই। ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. জহির বেপারী ওরফে জহেরের কাছে ড্রেজার সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, কেন ভাই পত্রিকায় লিখবেননি ? মনে যা চায় লিখেন বলেই মোবাইল ফোন রেখে দেন। এ ব্যাপারে ভাগ্যকুল ভূমির সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, প্রায় ৮/১০ দিন আগে ড্রেজারটি বন্ধ করা হয়েছিল। এলাকাবাসীর কাছে শুনেছি ড্রেজারটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। এখন আপনাদের মাধ্যমেও জানতে পারলাম। এ বিষয়ে এসিল্যান্ড স্যারের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।