নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব আটপাড়া গ্রামের মাঝি বাড়িতে প্রেমের টানে ১৬ বছরের এক তরুণী অবস্থান করছে। এতে প্রেমিক শিহাব মাঝি (২১) ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ওই তরুণীকে কৌশলে শিহাবের ফুপাতো বোন মলির বাড়িতে রাখা হয়। পরে স্থানীয় এক কাজীর মাধ্যমে শরা কাবিন সম্পন্ন করে শ্রীনগর সদর এলাকায় মলির বাসায় শিহাব মাঝিসহ তরুণী একসঙ্গে রাত্রি যাপন করে। এরই মধ্যে শিহাব ওই তরুণীকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সটকে পড়ে। পরে গত বৃহস্পতিবার বিকালে তরুণী ফের পূর্ব আটপাড়া শিহাব মাঝির বাড়িতে গিয়ে উঠে। রাত ঘনিয়ে আসলে এলাকাবাসী ওই তরুণীকে প্রতিবেশী জসিমদের বাড়িতে রাখে। পরদিন শুক্রবার কৌশলে তরুণীকে তার পিতার বাড়িতে নিয়ে গেলে উভয়পক্ষের মৌখিক সমাঝোতায় তরুণীকে ফের শিহাবের বাড়িতে এনে রাখা হয়। শিহাব পূর্ব আটপাড়া গ্রামের মো. সাঈদ মাঝির পুত্র। ওই তরুণী ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার মো. সেন্টু খানের কন্যা। সে চুনকুটিয়া গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, সপ্তাহ খানেক আগে মেয়েটিকে শিহাব বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। এখন শুনছি শিহাব মাঝি তাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ মেয়েটিকে বুঝিয়ে শিহাবের ফুপাতো বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেন। কয়েকদিন একসঙ্গে থেকে এখন শিহাব মেয়েটিকে রাখতে রাজি হচ্ছে না।
শিহাবের বাবা মো. সাঈদ মাঝির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলে এখন বিয়ে করতে রাজি আছে। মেয়েটির ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শরা কাবিন করানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, মেয়েটি আসার খবর পেয়ে মাঝি বাড়িতে গিয়ে মেয়েটির পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি ওখানে না পাঠিয়ে শিহাবের এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে শরা কাবিন করানো হয়েছিল। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনি স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, প্রায় দুই বছর আগে অনলাইনে শিহাবের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার এক বোনের বাড়িতে রাখে। আমার বয়স না হওয়ায় শরা কাবিন করানো হয়। ওই বাসায় একসঙ্গে কয়েকদিন রাত্রি যাপন করি। সে আমাকে মেনে নিতে পারবে না বলে চলে যায়। পরে আমি উপায় না পেয়ে তার বাড়িতে অবস্থান নেই। এখন শিহাবের পরিবারের লোকজন আমার পরিবারের সাথে কথা বলছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
শ্রীনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কান্তা পাল জানান, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।