নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সামিয়া আক্তার নামে এক যুবতীকে অপহরণ করা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশের রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয় সামিয়া আক্তারকে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা ময়না বেগম বাদী হয়ে অপহরণকারী ইয়াসিন তালুকদারসহ ৩ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর একেএসকে উচ্চ বিদ্যালয়ে সামিয়া আক্তার ৭ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। করোনা মহামারী শুরুর সময় লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। আমার মেয়ের স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বিবাদী ইয়াসিন তালুকদার (২১) দীর্ঘদিন যাবৎ আমার মেয়েকে রাস্তা-ঘাটে একা পেলে প্রেম নিবেদন করে তাকে বিরক্ত করতো। আমার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ইয়াসিন আমার মেয়েকে যেকোন সময় তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয়-ভীতি দেখাতো। গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালবেলা আমার মেয়ে তার ছোট ভাইবোনদের অসুস্থতার কারণে ষোলঘর বাজারে ঔষধ আনতে বাড়ি থেকে বের হয়। আমার মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ষোলঘর বাজারে গিয়ে লোকজনের কাছে জানতে পারি যে, আমার মেয়ে ঔষধ কিনতে ষোলঘর বাজারে গেলে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশের রাস্তার উপর পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ইয়াসিন তালুকদার আমার মেয়েকে আকাশ শেখ (১৮) এর সহায়তায় অজ্ঞাতনামা অটো গাড়িযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় নূর মোহাম্মদ তালুকদার (৪০), পিতা- মৃত রবি তালুকদার, আকাশ শেখ (১৮), পিতা- আব্বাস তালুকদার আমাদের বসতবাড়ির ভিতর অনধিকার প্রবেশ করে আমাদেরকে গালিগালাজ করে এবং মারতে তেড়ে যায়। আমাকে ও আমার স্বামীকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াসিন তালুকদারের কাছে জানতে তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিকেলে তদন্তে যাবো। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।