নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দেউলভোগ মোড় থেকে আরধীপাড়া মুন্সীরহাটি পাকা রাস্তায় ব্রীজ ও রাস্তার বড় অংশ ভাঙ্গনের ফলে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে হাজার হাজার মানুষ। রাস্তাটি অর্ধেক সংস্কারের পূর্বেই রাস্তা ও ব্রীজে এই বড় ধরনের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত ছয়মাস পূর্বে এলজিইডির আওতাধীন প্রায় কোটি টাকায় সংস্কারের কাজটি পান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ খোকন। সংস্কার কাজ শুরু করে শেষ না হওয়ার পূর্বেই রাস্তায় থাকা ব্রীজসহ রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় অংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া রাস্তাটির দেউলভোগ মোড় থেকে ধাইসার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীসহ শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ব্রীজ ও রাস্তায় এই ধরনের বড় ভাঙ্গনে প্রতিনিয়ত ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। এতে প্রতিদিন কোন না কোন যানবাহন, চালক কিংবা পথচারী আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে। কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পশ্চিম দেউলভোগ এলাকার আমির আলী জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের উপর নির্মিত পাকা ব্রীজের উত্তর পাশের গোড়ায় অর্ধেক ভেঙ্গে গিয়েছে এবং দেউলভোগ সবুজ হাটি মোড়ে রাস্তার পশ্চিম পার্শ্ব থেকে রাস্তার অর্ধেক ভেঙ্গে যাওয়ায় ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটোরিক্সা, ভ্যান, মোটরসাইকেল প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এছাড়া দেউলভোগ মোড় থেকে ধাইসার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। সবচেয়ে বেশি দুরবস্থা দেউলভোগ মোড়, ধাইসার মাদ্রাসার সামনে ও ধাইসার আলেপ খাঁ’র বাড়ির সামনের রাস্তার। ধাইসার টেম্পুস্ট্যান্ড শ্যামসিদ্ধি মঠবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার খুবই দুরবস্থা। এখানে একটু বৃষ্টি হলেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানিতে ভুবে যায় রাস্তা।
অটোরিক্সাচালক জাকির হোসেন বলেন, আমি এই রাস্তায় অটোরিক্সা চালাই। কয়েকদিন আগে এই রাস্তাটি মেরামত করা হয়। মেরামত কাজ শেষ না হতেই আমির আলী মসজিদের সামনে ব্রীজ ও রাস্তায় বড় ধরনের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতদিন হলো মেরামতের জন্য কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এই ভাঙ্গন মেরামত না করার কারণে প্রতিদিন আমরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। অনেক সময় ভাঙ্গনের সামনে এসে দুই অটো সামনাসামনি হলে গাড়ি দাঁড়িয়ে অন্য গাড়িকে পার হওয়ার জন্য সাইড দিতে হয়।
মুন্সীরহাটি গ্রামের বাসিন্দা আহসান রহমান জানান, শ্রীনগর উপজেলা সদরে যেতে এটিই আমাদের একমাত্র রাস্তা। রাস্তাটির দেউলভোগ এলাকা ব্যাপক খারাপ হওয়ায় এবং একটি ব্রীজের গোড়ায় ও রাস্তার অর্ধেক ভাঙ্গন থাকায় আমাদের খুব ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। এই ভাঙ্গন দুইটি এতদিন হলো কেউ মেরামত করছেন না।
উপজেলা প্রকৌশলী মফিফুল ইসলাম বলেন, রাস্তা সংস্কারের কাজটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ খোকন অসম্পন্ন করায় তাকে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে এবং এখনও তাকে বিল দেয়া হয়নি। গত অর্থবছরে সরকারের বরাদ্দ কম থাকায় মেইনটেনেন্স জমা দেয়া হয়নি। এই বছর দেউলভোগ মোড় থেকে ধাইসার পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজের মেইনটেনেন্স জমা দেওয়া হবে।