নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে রাস্তা পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গত শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বীরতারা গ্রামে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত ইয়াসমিন আক্তারসহ তার স্বামী সেলিম সরদার ও ছেলে জিহাদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করলে আহত ইয়াসমিন আক্তারের অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের শামীম হাওলাদারসহ ৭ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইয়াসমিন আক্তারের বসতবাড়ির সামনে রাস্তায় ঝোপ-জঙ্গল থাকায় সেটি পরিষ্কার করেন। এতে প্রতিপক্ষ একই এলাকার আমজাদ হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার, ইদু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া, মালেক সরদারের ছেলে শাহজাহান সরদার, জাহাঙ্গীর সরদার, আনোয়ার সরদারের ছেলে বাসের সরদার, শামীম হাওলাদারের ছেলে শাওন হাওলাদার ও কামরুলের ছেলে শান্ত গং উত্তেজিত হয়ে হাতে লাঠিসোটা, রড, রামদা নিয়ে ইয়াসমিন আক্তারের উপর হামলা চালিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। সোহাগ মিয়া হাতে থাকা রামদা দিয়ে ইয়াসমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় মেরে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আহত ইয়াসমিনের ডাকচিৎকারে তার স্বামী সেলিম সরদার ও ছেলে জিহাদ এগিয়ে আসলে তাদের দুজনকেও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজনে এগিয়ে আসলে শামীম হাওলাদার গং হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর জানান, এই দুই পক্ষের পূর্ব থেকে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। আজকে আমি জুম্মা নামাজ শেষে ঐদিক দিয়ে আসছিলাম ঐসময় দেখি সেলিম সরদার রাস্তা পরিষ্কার করায় শামীম হাওলাদার গং তর্ক-বির্তক করছে। আমি থামানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ মানেনি। পরে শুনি মারামারি হয়েছে।
শ্রীনগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই নার্গিস বলেন, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে এসআই মানিক মৃধা স্যার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এরপর ওরা এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ তদন্তের জন্য ওসি স্যার যে অফিসারকে আইও দিবেন তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।