নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শ্রীধরপুর বড়ঘাট-বাঁশের পুল সড়কে ছাড়পত্রবিহীন ড্রেজার লাইনের কারণে যান চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। ওই সড়কের কুদ্দুস তালুকদারের বাড়ি ও বাঁশের পুলের সামনে রাস্তার ওপর দিয়ে অবৈধভাবে ২টি ড্রেজারের পাইপ লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব পাইপের কারণে সড়কে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াসের ছত্রছায়ায় এলাকায় প্রভাবশালী ড্রেজার সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিধি-নিষেধ অমান্য করে অবৈধ ড্রেজারে বালু বাণিজ্য করে আসছে। প্রায় ১০/১২ দিন আগে উপজেলা প্রশাসন বাড়ৈখালী বাজার সড়কে থাকা ৫/৬টি ড্রেজার লাইন উচ্ছেদ করে। চক্রটি বিকল্প রাস্তা হিসেবে
শ্রীধরপুর বাঁশের পুল শাখা সড়কটি ব্যবহার করে ফের এসব ড্রেজার পাইপের সংযোগ দেওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। প্রভাবশালী ড্রেজার সিন্ডিকেট মহলটির খুঁটির জোর কোথায়?
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ইলিয়াসের নেতৃত্বে ড্রেজার সিন্ডিকেটের অন্যতম তুহিন ও হেলাল বাঁশের পুল সড়কের ওপর দিয়ে পুনরায় ড্রেজার পাইপের সংযোগ দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানীয়দের বসতবাড়ির ওপর দিয়ে এসব ড্রেজারের পাইপ নেওয়ার ফলে বসবাসকারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
দেখা যায়, সড়কের পাশে খালে বাল্কহেড থেকে ড্রেজারে বালু আনলোড করা হচ্ছে। এছাড়া ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে শিক্ষার্থীদের লেখাপাড়া ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের ভয়ে সাধারণ মানুষ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
ড্রেজারের শ্রমিক জামাল বলেন, হেলালের মালিকানা ড্রেজারের তারা কাজ করছেন।
ড্রেজার ব্যবসায়ী হেলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন কিছুদিনে মধ্যে তার কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষে ড্রেজার খুলে ফেলা হবে।
ড্রেজার ব্যবসায়ী তুহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একা নই। আমার সাথে সাবেক ইউপি সদস্য জনি ভাই আছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ ড্রেজারের সাথে আমি জড়িত না। কিছুদিন আগে প্রশাসন ড্রেজার উচ্ছেদ করার সময় আমিও ছিলাম। বাঁশের পুল সড়কে ড্রেজার বসানোর বিষয়ে আমি তাদেরকে নিষেধ করেছিলাম, তারা আমার কথা রাখেনি।
বাড়ৈখালী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়ার কাছে মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।