নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে ১০ বছরেও বরিবর খোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সরেজমিনে মঙ্গলবার গিয়ে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের বরিবর খোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষের অভাবে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করছে ভাঙ্গা চাটাইয়ের ঘরে। স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষার আলো জ্বালাতে অজপাড়া গাঁয়ের দুর্গম এলাকায় ১৯৭৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। চাঁটাইয়ের ঘর দিয়ে অল্প কিছু ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা স্কুলে এখন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৬৫ জন। ২০১২ সালে ১টি টিনশেডের ৩টি রুম করা হয়। তারপর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত স্কুলের কোন উন্নয়ন হয়নি। কিন্তু বর্তমানে সেইসব রুমে সামান্য বৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারে না। অনেকসময় বৃষ্টি হলে বা মেঘ দেখলেই স্কুল ছুটি দিতে হয়। বেশ কিছুদিন মাটিতে পাটি পেতে টিনের বেড়া দিয়ে চতুর্পাশ খোলা ঘরে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করা হয়। প্রধান শিক্ষক বলছেন শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর অনেকবার লিখিত আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি। বিদ্যালয়টির বয়স হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া নেই। প্রধান শিক্ষক নাহিদ আক্তার জানান, ভোটের সময় বিদ্যালয়টি ভোটকেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তিন গ্রামের লোকজন এখানে ভোট দিতে আসে। খৈরখোলা, বরিবর খোলা, বালুরচক এলাকার লোকজন এখানে ভোট দিতে আসে। স্থানীয় এক সংবাদকর্মী বলেন, বিদ্যালয়টি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা হয়েছে বিদ্যালয়টিতে কোন ভালো রুম নেই। যে তিনটি রুম আছে তাও আবার বৃষ্টি হলে ছাত্র-ছাত্রীরা ভিজে যায়। শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টির প্রতি সুনজর দিলে বিদ্যালয়টির অবকাঠামো ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হতো।