নিজস্ব প্রতিবেদক
কোরবানির ঈদে টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষে খুলেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে। যদিও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রশাসন শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথম কর্মদিবসে বেশিরভাগ কর্মচারীই অফিস করছেন।
বাংলাদেশে এবার ঈদ হয়েছে ২৯ জুন। ঈদ ঘিরে তিন দিনে ছুটির আগে এক দিন নির্বাহী আদেশে বিশেষ ছুটি এবং পরে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ছুটি ছিল পাঁচদিন।
অফিস খোলার প্রথম দিন রোববার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। যেসব কক্ষে একাধিক কর্মচারীর বসার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে অনেক চেয়ার ফাঁকা।
পাস নিয়ে রোববার দর্শনার্থীদের সচিবালয়ে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও এদিন সকাল থেকে সচিবালয়ে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। সচিবালয়ের ভেতরে অন্য দিনের মত গাড়ির জটও ছিল না।
ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে অফিসে এসে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুপুরে তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
রোববার অফিসে আসার পর অনেক কর্মচারীকে সহকর্মীদের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রথম কর্মদিবসে তেমন কোনো নির্ধারিত কাজ না থাকায় কাজের চাপ খ্বু একটা নেই। ফলে একটু ঢিলেঢালা মেজাজে সময় পার করা যাচ্ছে।
ছয় নম্বর ভবনের ছয়টি লিফটের সামনেও রোববার ভিড় দেখা যায়নি। অন্য দিনগুলোতে এসব লিফটের সামনে লম্বা লাইন লেগে থাকে। অফিসে উপস্থিতির বিষয়ে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দাবি করেন, যারা বাড়তি ছুটি নিয়েছেন, তারা বাদে প্রথম দিন বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিস করছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম দেখা যায়। এই বিভাগের একজন কর্মচারী জানান, প্রথম দিন অনেকেই অফিসে আসেননি। কেউ কেউ বেশ দেরি করে অফিসে ঢুকেছেন।