নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘটকের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও মিলছে না শিউলি আক্তার পিংকির ২ মাসের কন্যা সন্তানের স্বীকৃতি ও স্ত্রীর অধিকার। দক্ষিণ ধামারনের সোবহান শেখের ছেলে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন শেখ তোয়াক্কা করে না চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের। স্ত্রী-সন্তানের অধিকার ক্ষুন্ন করে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসী।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার দুপুরে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগী পিংকি। জিডি নং-১১১৫।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ মে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানার আড়িয়ল দক্ষিণ কুরমিরার দরিদ্র বাবুল সাজীর মেয়ে শিউলী আক্তার পিংকি (৩১) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই থানার কাঠাদিয়া-শিমুলিয়ার দক্ষিণ ধামারন গ্রামের সোবহান শেখের ছেলে সন্ত্রাসী জাকির হোসেন শেখ (৪৬) এর সাথে। এটি পিংকির দ্বিতীয় বিয়ে হলেও জাকিরের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে প্রবাসী এক ছেলের সাথে টেলিফোনে পিংকির বিয়ে হলেও তা আর সংসার জীবন পর্যন্ত গড়ায়নি। তবে জাকির শেখ এর আগে ২টি বিয়ে করেছে এবং তার পূর্বের সংসারে ২টি ছেলেমেয়ে রয়েছে।
ভুক্তভোগী পিংকির অভিযোগ, বিয়ের পর শুরুর ১ মাস সবাই আমার সাথে ভাল ব্যবহার করলেও যখন আমি গর্ভবতী হই, তখন থেকেই জাকির ও তার ছোট বোন ছানোয়ারা আক্তার (৩৫) এবং আগের সংসারের ২ ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সবাই দিন-রাত আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং মারধরসহ আমার উপর অমানসিক নির্যাতন শুরু করে। যা সইতে না পেরে একপর্যায়ে আমি এক কাপড়ে বাবার বাড়ি চলে আসি।
পিংকির অভিযোগ, মূলত আমার স্বামীর আগের ঘরের ২টি সন্তান থাকা সত্ত্বেও কেনো আমি নিজে সন্তান নিলাম, এটাই ছিল আমার একমাত্র অপরাধ। এমনকি এই সন্তানটি অবৈধভাবে গর্ভপাত করানোর জন্যও আমার স্বামী ও তার বোন আমাকে জোর করে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সব শেষে ৪ মাসের গর্ভাবস্থায় এসব অত্যাচার সইতে না পেরে আমি বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেই। তখন জাকির আমাকে হুমকি দিয়েছিল- ভবিষ্যতে যেনো এই সন্তানের পিতৃপরিচয় না চাই। না হলে আমার সন্তান ও আমাকে সে জানে মেরে ফেলবে। এখন আমার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখেছে। কিন্তু ২ মাসেও ওর বাবার ভোটার আইডি চেয়েও পাচ্ছি না সন্তানের জন্মনিবন্ধন করার জন্য। তাই ভোটার আইডির ফটোকপি চাইতে গতকাল রোববার তার বাড়িতে গেলে জাকির ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ আমাকে মারতে আসে। আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার সাথে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। তাই আমি আমার ও আমার শিশু কন্যার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় এসে সাধারণ ডায়েরী করেছি।
এদিকে টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি এবং আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে ভুক্তভোগী ও তার শিশু সন্তানের প্রতি।