নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাহায্যে বিত্তবানরা এগিয়ে আসুন। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করে মানুষের পাশে দাঁড়াবার নির্দেশ দিয়েছেন; সাধারণ মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে, মানুষের পাশে থাকবে।
গতকাল ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সহস্রাধিক মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ফকির শিল্প গ্রুপ-এর সহায়তায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোঃ আলী খোকন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, মোঃ মনিরুল হক মিঠু, শহীদুজ্জামান জুয়েল, কামরুল হাসান ফরাজী, ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন, মোঃ হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু, সাইফুল ইসলাম, মাহিবুজ্জামান ও আনিস প্রমুখ।
এর আগে অপরাহ্ন ৩টায় গজারিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার শিকার পরিবারের সদস্যদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি। আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গণহত্যার শিকার পরিবারের তালিকা প্রস্তুতকরণ, তাদের সমস্যা নিরসন, শহীদ পরিবারের যাদের গৃহ ও জমিহীন থাকলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের জন্য গৃহ প্রদান এবং তাদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানুষের কল্যাণের জন্যÑ দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য রাজনীতি করেন। সবসময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করেছেন। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও প্রচেষ্টায় বাংলার মানুষের মুখে আজ হাসি ফুটেছে।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ^ব্যাপী যে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে উত্তরণে বর্তমান সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারিভাবে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
গজারিয়ায় গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে বৈঠকে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিয়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। এত কম সময়ে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ হত্যার নজির বিশ্বে আর নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন-আদর্শকে ধারণ করে এদেশের সূর্য সন্তানরা আত্মহুতি দিয়ে গেছেন সেই স্বপ্নসাধ বাস্তবায়নে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।