নিজস্ব প্রতিবেদক
নোভেল করোনা প্রাদুর্ভাব রোধে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে দিনমজুর, কৃষক, রিক্সা চালক, কুলিসহ বিভিন্ন পেশার দরিদ্র অসহায় কয়েক হাজার পরিবারের কর্তা ব্যক্তিদের। এতে খাবার সংকটে পড়েছে পরিবারগুলো। সরকারি বেসরাকারিভাবে খাদ্য সহায়তা দিলেও অনেকের ভাগ্যে জোটেনি এক মুঠো চাল। এদের বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া হওয়ায় সাহায্য যেন সোনার হরিনে পরিণত হয়েছে। উত্তর ইসলামপুরের মাদ্রাসারোড এর দুই পাশে এবং মাদ্রাসার পিছনে দরিদ্র পরিবারের সংখ্যা হবে দেড় থেকে দুই শতাধিক যারা এখানে কেউ জায়গা ভাড়া আবার কেউ বা বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন। এদের মধ্যে হাতেগোনা দুই একজন সহযোগিতা পেলেও বেশিরভাগ পায়নি সাহায্য। এলাকার কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ সরকারি বা বেসরকারী ত্রাণ সহযোগিতা পেলে তা পৌঁছে দেন মোল্লার চরে। পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড হাটলক্ষিগঞ্জে তো ভোটার বলতে ভাড়াটিয়াদের আধিপত্য। এই এলাকাটির সিংহভাগ ভোটার দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের সন্ধানে বসবাস করা শত শত পরিবার। যারা দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছে এই এলাকাটিতে। কেউ আবার ভোটারও নয়। তবে এই মানুষগুলোর চিত্র বলে বোঝানো যাবেনা। এই মানুষগুলোর জন্য কিছুটা হলেও চেষ্টা করে যাচ্ছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেন। তিনি পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মোঃ ফারুক আহম্মেদ জানান, একটি মানুষও না খেয়ে থাকবেনা। সরকার পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছে। আমরা তা মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছি। এখানে কে ভাড়াটিয়া বা কে স্থানীয় তা আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সবার ঘরে পৌঁছে যাবে খাদ্যসহ সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা।