বন্দর প্রতিনিধি
বন্দরে সামসুজ্জোহা এম বি উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ৮ম শ্রেণী ও এস এস সি পরীক্ষার্থীদের কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন এমন কথা জানিয়েছে উল্লেখিত এলাকার সচেতন মহল। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, সরকার স্কুলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে দিলেও প্রধান শিক্ষকের মদদে সহকারি শিক্ষক সাইফুল একক ক্ষমতার বলে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে কোচিং বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলে কোচিং না করলে নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হবে না। এ ধরনের ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে কোচিং করতে। ক্লাশ শেষ করে শিক্ষার্থীরা ফের কোচিং করতে গিয়ে অতিরিক্ত চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সামসুজ্জোহা এম বি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে ৩৫০ জন ও ১০ম শ্রেনীতে ১৯০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোচিং বাবদ ৫শ’ টাকা করে আদায় করে প্রায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এ টাকা সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুলের নেতৃত্বে শিক্ষক কাজী মাহফুজ, মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্বাস উদ্দিন, নিশিত জোয়ারদার, আফরোজা বেগম, রুবেল, রাসেলকে কিছু দিয়ে নিজের পকেট ভারি করছেন। অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা অভিভাবকদের সাথে পরামর্শ না করেই কোচিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাংসদ সেলিম ওসমান শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের শতভাগ বেতন ভাতা মওকুফ করে দিয়ে নিজে ভর্তুকি দিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাথায় অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কোচিংয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি সাংসদ সেলিম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যারা অনৈতিক কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সামসুজ্জোহা স্কুলে কোচিং বাণিজ্য
আগের পোস্ট