নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন অটুঁট রেখে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন। দেশবিরোধী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের হাত থেকে বাংলাদেশ ও দেশের জনগণকে রক্ষা করতে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল ২২ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপির সহধর্মিণী নিলামা দাস বেবি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েব আলী মোল্লা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি খোকন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জি. সাহিদ হাসান লিটু, হাফিজুজ্জামান খান জিতু, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রাজ বংশী, জেলা পরিষদ সদস্য সাইদুর রহমান খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহীন খান প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হলো সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সংস্কৃতি। প্রতিক্রিয়াশীলদের ষড়যন্ত্র প্ররোচনায় সংঘটিত কয়েকটি ঘটনা ব্যতীত বাঙালি জাতির ইতিহাস মিলনের ইতিহাসÑ ভ্রাতৃত্বের ইতিহাস। সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি সমন্বয়ে উৎসবমুখর ছিল বাঙালি সমাজ। বিভিন্ন ধর্ম ও মতাবলম্বীদের আচার-অনুষ্ঠানেও রয়েছে সার্বজনীন অংশগ্রহণ। ধর্মীয় অনুষ্ঠানও পরিণত হয় সার্বজনীন উৎসবে। বাঙালির হাজার বছরের এই ঐতিহ্য এখনও অক্ষুণ্ন রয়েছে। দুর্গোৎসবসহ বাঙালি সমাজের সার্বজনীন অংশগ্রহণ ও উৎসব পালনের সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের অচ্ছেদ্য বন্ধন হয়ে আমাদেরকে শান্তির পথে এগিয়ে যায় সমৃদ্ধির পথে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান সবাই রক্ত দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ইশতেহার ছিল- বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। এ দেশ সবার দেশ। যার যার ধর্ম সে স্বাধীনভাবে পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও সমমর্যাদা রয়েছে। শ্রেণি-বর্ণ, ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা সকলের সমান অধিকার। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণ পাশাপাশি বসবাস করছে। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে হবে।