নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শুলপুর গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। গতকাল রবিবার সকাল ৮টায় শুলপুর গীর্জায় প্রার্থনা পরিচালনা করেন ডক্টর ফাদার লিন্টু ফ্রান্সিস ডি কস্তা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন ডিকন সাগর ডি ক্রুস। এসময় প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন কেয়াইন ইউপি সদস্য নয়ন রোজারিও, খ্রিস্টান গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি নির্মল রড্রিক্সসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। এসময় শুলপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিতের ডক্টর ফাদার লিন্টু ফ্রান্সিস ডি কস্তা বলেন, প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য একজন মা তুল্য। মা যেমন নিজেকে নিঃস্ব করে একটি পরিবারকে গড়ে তুলেন। তেমনি বঙ্গবন্ধুও নিজেকে নিঃস্ব করে বাংলাদেশকে তথা বাঙ্গালী জাতিকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পরিবারে যেমন মায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা এত কিছু করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বাড়িতে স্থান হয় না। বাংলাদেশ গঠনের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা গড়ে দিয়ে আমাদের বাঙ্গালী জাতির জন্য এক মাইল ফলক হিসাবে রয়ে গেলেন। বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে তিনি আশাব্যঞ্জক যে বাণী রেখে গেছেন তা থেকে আমরা বুঝতে পারি তিনি বাঙ্গালী জাতিকে কত উপরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যদিও তার স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি তা বাস্তবায়ন করছেন তার সুযোগ কন্যা শেখ হাসিনা। আমরা খ্রিষ্টানরা সকলেই আপনার পাশে আছি এবং থাকবো। বঙ্গবন্ধুর এই অবদানের জন্য যদিও বাঙ্গালী জাতির অনেক ক্ষেত্রে তাকে যোগ্য মর্যাদা দিতে পারেনি। কোন কোন ক্ষেত্রে করেছে বিশ্বাস-ঘাতকতা। তার এই অস্বাভাবিক হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমরা তার কাছে চিরঋণী। এখান থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, আমাদের হতে হবে দুরদর্শী এবং সদা জাগ্রত। দেশের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের সবার সক্রিয় ভূমিকা একান্ত কাম্য। তাই আসুন, আমরা যে যেখানে আছি আমরা যেন দেশের প্রতি যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করি।