রেলের রাস্তার কাজ একদিন বন্ধ হলে সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা ব্রীজ রেইল লিংক প্রজেক্টের রাস্তা নির্মাণে নানা জটিলতায় কিছু ভূমি অধিগ্রহণ হয়নি। দেড় বছর পর ২৫টি পরিবারের সাথে আলোচনা ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। এ রেলের রাস্তা নির্মাণে চায়না ঠিকাদার কোম্পানীর একদিন কাজ বন্ধ হলে সরকারের ক্ষতিপূরণ দিতে হয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। তবে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এ প্রজেক্টে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর (সিএসসি), এনজিও ডিওআরপি ও চায়না ঠিকাদার কোম্পানী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ঘোড়ামারা গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভূমি মালিকদের সাথে পদ্মা ব্রীজ রেইল লিংক প্রজেক্ট সংশ্লিষ্টদের আলোচনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর ঘোড়ামারা গ্রামে আলোচনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মা ব্রীজ রেইল লিংক প্রজেক্টের সহকারি পরিচালক কাজী হাবিবুল্লাহ, পদ্মা ব্রীজ রেইল লিংক প্রজেক্টে সংশ্লিষ্ট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশন অফ দা রুর্যাল পিয়ার (ডিওআরপি) এর টিম লিডার মোহাম্মদ জোবায়েরসহ সেনা বাহিনীর (সিএসসি) পদ্মা ব্রীজ রেইল লিংক প্রজেক্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রেলওয়ের রাস্তা নির্মাণের চায়না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় স্থানীয়দের সাথে আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম মনু ও সাবেক ইউপি সদস্য কবীর হোসেন। এ প্রজেক্টের আওতায় যাদের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা রয়েছে তাদের ২৫ জনের নামের তালিকা রয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনকে বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আর ভূমির মূল্য পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী কাগজপত্র জেলা এলএ শাখায় জমা দিলেই জমির মূল্যের ৩ গুণ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বলে জানা যায়। অধিগ্রহণের আওতায় ভূমি মালিক অনেকে কর্মকর্তাদের বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোন কাগজ বা নোটিশ ডিসি অফিস থেকে আসেনাই। আমরা যাতে কোন ভোগান্তিতে না পড়ি এ বিষয়টি আপনারা দেখবেন। যাতে করে সহজে আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে পারি। এ সময় তারা ঘর-বাড়ি দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার আশ^াস দেন। এ সময় প্রজেক্টের এডি কাজী হাবিবুল্লাহ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আপনাদের জোর করা হয়নাই। সরকারের সহযোগিতা করার জন্য অক্ষম ও হত দরিদ্রদের জন্য আলাদা খরচ দেওয়া হবে। সরকার একটা নিয়ম করেছে সে নিয়মের ভেতর থেকে যত সহযোগিতা করা যায় আমরা আপনাদের করব। ডিওআরপি’র টিম লিডার মোহাম্মদ জোবোয়ের বলেন, ডিসি অফিস থেকে নামের তালিকা করেছে। আপনারা জমির মূল্য জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পাবেন। তাছাড়া আমরা এনজিও অফিস থেকে আপনাদের তালিকা করেছি। জায়গা থেকে ঘর-বিদ্যুৎ লাইন সরিয়ে নেওয়ার জন্য যে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে, এটা জমির মূল্য থেকে কাটাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, চায়না ঠিকাদার কোম্পানী কাজ চালু রাখার জন্য সহায়তার টাকা দিয়েছে। পরবর্তীতে সরকারের কাছ থেকে তারা নিয়ে নিবে।