নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুসন্তান নিয়ে নিখোঁজের এক মাসেও পুত্রবধূর সন্ধান মিলেনি। থানায় শাশুড়ি অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তদন্ত কর্মকর্তা বারবার টাকা নিয়েও কোন কাজ করছে না, এমন অভিযোগ বাদিনীর। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামে। অভিযোগের বাদিনী রক্ষিতপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখের স্ত্রী মাসুদা বেগম (৫০) জানান, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮) এর সাথে ২০১২ সালে বিয়ে হয় শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া গ্রামের মো. শাজাহান শেখের মেয়ে শাহানাজ বেগম (২৫) এর সাথে। তাদের ঘরে আরাফাত নামের ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বাদিনী আরো জানান, তার স্বামী ও ছেলে প্রবাসী। প্রায় একমাস আগে ৫ জানুয়ারী ২০২১ ইং সকাল সাড়ে ৯টায় ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করবে বলে শাহানাজ সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুরের পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ। বাড়ি আসতে দেরি দেখে শাহানাজের বাবাকে ফোনে ঘটনা জানান তিনি। তার বাবা বলে আমার বাড়ি এসেছিলো সাড়ে ১২টার দিকে, তখন মাসুদা তার বাবার কাছে বলেছিলো শ্রীনগর ভাগ্যকুল যাবে। অদ্যবধি সে বাড়ি ফিরেনাই। বাড়িতে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। আত্মীয়স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে সন্ধান না পেয়ে পরদিন ৬ জানুয়ারী সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এএসআই দিলীপ কুমার দাস বিষয়টি দেখছেন। তিনি বারবার টাকা নেন। এ পর্যন্ত তাকে ৭ হাজার ২ শত টাকা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু উদ্ধার তো দূরের কথা, পুলিশ কোন সন্ধান দিতে পারেনি। এ ব্যাপারে কোলা ইউপি সদস্য মো. মিরাজ শেখ জানান, ছেলের মা আমাকে কয়েকদিন আগে জানিয়েছেন। আমি মেয়ের বাবার সাথে কথা বলেছি তখন সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মেয়ের বাবা শাহজাহান বলেছেন, কোথায় আছে জানেন না, খবর পেলে জানাবেন। অভিযোগ তদন্তকারী সিরাজদিখান থানা সহকারি উপ-পরিদর্শক দিলীপ কুমার দাস বলেন, ২০ দিন হবে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা একবার ট্রেস করেছিলাম। পরে সেখান থেকে সরে গেছে। চেষ্টা চলছে উদ্ধারের। মেয়ের বাবার সাথেও যোগাযোগ রাখছি, কোনো নাম্বার থেকে ফোন দিয়েছে কি-না জানার জন্য। এখানে কোন টাকাপয়সা নেওয়া হয়নাই।