নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজদিখানে ৬ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৪৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামের মৃত ইসমাঈল খানের ছেলে ফিরোজ খান। গত ৮ মার্চ সোমবার দুপুরে নন্দনকোনা গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার চারদিন পর গত ১২ মার্চ শুক্রবার স্থানীয় ইউপি সদস্য কপাসের হোসেন ও মহিলা ইউপি সদস্য জাকিয়া আক্তারের মধ্যস্থতায় ঘরোয়া সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ফিরোজ খান এলাকা থেকে সরে পড়েছে। স্থানীয় অনেকে জানান, গত ৮ তারিখ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে লম্পট ফিরোজ খান পার্শ্ববর্তী বাড়ীর ওই শিশুকে সাথে নিয়ে গরুর ঘাস কাটতে যায়। এরপর বাড়ী ফিরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে শিশুটি পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে কোলা ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. কপাসের হোসেন ও ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড মহিলা ইউপি সদস্য জাকিয়া মিলে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করেন। আরো জানা যায়, অভিযুক্ত ফিরোজ খান ইউপি সদস্য জাকিয়ার ভাসুরের ছেলে। আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে ধর্ষণের মত জঘন্যতম অপরাধ ঘরোয়া সালিশে মীমাংসা করায় স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছু বলতে রাজি হননি। কোলা ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. কপাসের হোসেন মীমাংসার কথা অস্বীকার করে বলেন, এটা আইনী বিষয়। এ ব্যাপারে আমার কোন হস্তক্ষেপ নাই। কোলা ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাকিয়া আক্তার বলেন, আমি কিছু করিনাই। যা করছে কপাসের মেম্বার করছে। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নাই। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নারীঘটিত কোন বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।