নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আঙিনায় গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের শাহাদাৎবার্ষিকী ও ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শোকসভার আয়োজন করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। শোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে দাওয়াতও করা হয়। ওইদিন আয়োজিত শোকসভা না করে কোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছোট ভাই আবু কালামের বিয়ের দাওয়াতে উপস্থিত হন কোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি (ইউপি সদস্য) মো. কপাশের হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তারণ। শোকসভায় যোগ দিতে শতাধিক নেতাকর্মী আসেন, অনুষ্ঠান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা চলে যান। এ নিয়ে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে আরো জানান, শোক সভার চেয়ে তার কাছে বিয়েটা বড় মনে হলো। তাও আবার বিএনপি নেতার ভাইয়ের বিয়ে। যদি তিনি বিয়েতেই যান তাহলে এই সভার আয়োজন না করলেইতো পারতেন। আর আমাদের এখানে আসতে বলার কি দরকার ছিলো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তারণ ছাত্রলীগ নেতা আসিফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। একসময় কোলা ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। স্থানীয় লোকজন তাকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিনেন। তিনি শোকসভার আয়োজন করে নেতাকর্মীদের সাথে তামাশা করলেন। কোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর খান বাবু বলেন, কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই সম্মেলনে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। জেলা ও কেন্দ্রে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে তবে অভিযোগ এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপির দলীয় নেতাদের হাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তুলে দিলে এমনটাই হবে। শোকের মাস আগস্ট অথচ অনুপ্রবেশকারীদের কারণে কোলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান করতে পারেনি। বিএনপি-জামাত জোটের সময়েও আমরা হামলা মামলা উপেক্ষা করে ১৫ই আগস্ট পালন করেছি। কোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তারণ বলেন, আমি বিএনপি সভাপতি আবু তাহেরের ছোট ভাইয়ের বিয়েতে ছিলাম। সকালে সবাইকে ফোন দিয়ে জানিয়েছি অনুষ্ঠান হবে না। আরো জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত কন্ঠে বলেন, কি নিউজ করবেন করেনগা। এই বৃষ্টির মধ্যে কি সাংবাদিকরা রান্না আর প্যাকেট কইরা দিয়া যাইবো?