নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইদ্রাকপুর ১নং মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর যেন এক মরণ ফাঁদ। প্রাচীরের বিভিন্ন অংশে ফাটল, প্লাস্তার খসে পড়াসহ একদিকে কাঁত হওয়া দেয়ালটির অপরপাশে বিদ্যালয়টির খেলার মাঠ। সেখানে কোমলমতি শিশুরা ছুটি পেলেই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। এছাড়াও স্কুলটির বিভিন্ন অনুষ্ঠান এই মাঠে হয়ে থাকে। অপরপাশে রয়েছে ব্যস্ততম সড়ক। তার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেয়ালটি। প্রায় সাড়ে ৯ শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাণপ্রিয় বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীরের বিভিন্ন অংশে ফাটলসহ একদিকে কাঁত হয়ে আছে। উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সন্নিকটে অবস্থিত এমন ঝুঁকিপূর্ণ দেয়ালটি অপসারণ করে নতুন দেয়াল নির্মাণের তেমন কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না শিক্ষা অধিদপ্তরের। এতে করে কোমলমতি শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে চরম আতঙ্কে থাকতে হয় স্বজনদের। স্কুলের দেয়াল সংস্কারে একাধিকবার শিক্ষা অধিদপ্তরে অবহিত করলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
স্কুলটিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবক জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ঝুঁকি নিয়ে ও বিভিন্ন অংশে ফাটল নিয়ে একদিকে কাঁত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের দেয়াল। যা যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তারা আরো বলেন, বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে। তাই অতি দ্রুত স্কুলের সীমানা প্রাচীর দেয়ালটি সংস্কারের দাবি তাদের।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নাহিদ সুলতানা বলেন, প্রায় ৪/৫ বছর যাবৎ ঝুঁকি নিয়ে দেয়ালটি দাঁড়িয়ে আছে। এটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। ফলে অনেক সময় অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের ঠিকমত স্কুলে পঠান না। অনেক সময় স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ দেয়ালটি ভেঙে নতুন দেয়াল নির্মাণের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সানজিদা আক্তার।
স্কুলের সীমানা প্রাচীর যেন মরণ ফাঁদ
আগের পোস্ট